জকিগঞ্জে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের খাঁচায় রহিম মিয়া

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি;
  • প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২০, ৩:৪৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

রহিম মিয়া কথা-বার্তায় বেশ পটু । কোন মামলার কোন ধারা নিমিষেই তিনি বলে দিতে পারেন। জেল হাজতে থেকে থেকেই সবকিছু জানা হয়ে গেছে রহিমের। কারো কাছে তিনি দালাল আবার কারো কাছে তিনি মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। যার ফলে অনেকেই রহিমের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেন।প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া রহিমের কাছে মাত্র সময়ের ব্যাপার।

এবারও অন্যকে মামলায় ফাঁসাতে চেষ্টা চালান রহিম মিয়া। কিন্তু চেষ্টায় বিফল হলে ধরা পরে আসল ঘটনা। আর সেই ঘটনায় নিজে ফেঁসে গিয়ে এখন তিনি নিজেই বন্দি হলেন পুলিশের খাঁচায়।

জকিগঞ্জ উপজেলাধীন ভরণ সুলতানপুরের মৃত মনজ্জির আলীর পুত্র রহিম মিয়া (৩৬)।

২৯ জুলাই বুধবার সন্ধ্যায় রহিম মিয়া থানায় ফোন দিয়ে পুলিশ সদস্যকে জানালেন সুলতানপুর ইউনিয়নের কাঁচারচকে একজনের বসত ঘরে ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যাবে।
তার চক্রান্তের বিষয়টি আগেই আ্যঁচ করে নেন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মীর মো. আবদুন নাসের। তিনি সাথে সাথেই এসআই নোটন কুমার চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্সসহ পাঠিয়ে দেন ঘটনাস্থলে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটায় কাঁচারচক গ্রামের জনৈক মুহিবুর রহমান সাদ্দাম এর বড় ভাই এবং আশপাশের প্রতিবেশিকে নিয়ে মুহিবুর রহমান সাদ্দাম এর ঘর তল্লাশী শুরু করেন। আর ঠিক তখনই রহিম মিয়া জানালার পাশে থাকা মুহিবুর রহমান সাদ্দামের বিছানার নীচে কালো রংয়ের একটি পলিথিনের ব্যাগ ঢুকিয়ে রাখেন।
উপস্থিত লোকজন এ সময় চিৎকার শুরু করলে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল। আর তখনই বিছানার নীচ থেকে ব্যাগটি তল্লাশী করে ১টি কালো পলিব্যাগের ভিতরে ১০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

তখন রহিম মিয়াকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাবাদ করলে সে জানায়, শিহাব উদ্দিন শিহাব এবং শিল্পী বেগম এর পরামর্শে তাদের দেওয়া ইয়াবা ট্যাবলেট শত্রুতা বশতঃ নিজ হেফাজতে রেখে মুহিবুর রহমান সাদ্দাম কে মাদক মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করা হয়।
পুলিশের নিকট মিথ্যা সাক্ষ্য এবং অপরাধ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করায় তাদের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানার মামলা নং-৪৫, ধারাঃ ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০(ক)/৪১ তৎসহ ১৯৩/২০৩ দঃ বিঃ রুজু করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি