সব
জকিগঞ্জে আবারও দেখা মিলল সেই রহিম সাহেবের উত্তরসূরীর ৩জন।
পরিকল্পিত ভাবে ইয়াবা দিয়ে অন্যকেমামলায় ফাঁসাতে গিয়ে, চেষ্টায় বিফল হলে পুলিশের হাতে ২০০ পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়ে যান শাহীন আহমদ(৩৫)।
সে উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নাধীন রায়গ্রামের তছদ্দর আলী (তছই মেম্বারের) কনিষ্ঠ ছেলে।
জকিগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামীর তথ্যসূত্রে উপজেলার জিয়াপুর গ্রামে আবুল কালামের বসত বাড়িতে ইয়াবা আছে, উক্ত সংবাদটি পরিকল্পিত মনে হওয়ায় এসআই নোটন কুমার চৌধুরী এর নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্স সহ শাহীন আহমদকে নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।
১০আগস্ট সকাল ৬.৩৫ ঘটিকায় সময় ঘটনাস্থলে পৌছে আবুল কালাম এর বসতঘর তল্লাশী করে।
এ সময় শাহীন আহমদ জানায়,আবুল কালামের বাড়ির পিছনের রান্নাঘরের নাওরিতে ২০০পিস ইয়াবা আছে। তার তথ্যমতে নাওরির মধ্যে একটি নীল রংয়ের পলিথিনে মোড়ানো দুইটি বায়ুরোধক কালো পলিব্যাগের ভিতরে ২০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
আসামী শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, ইয়াবা গুলো হাসান আহমদ চৌধুরী (হাসনু) আবুল কালামের সাথে শত্রুতার জের ধরে তাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে তার বসত ঘর রেখে পুলিশকে অবগত করার কথা বলে।
পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার জিয়াপুর গ্রামের মৃত আবুল কালাম এর পুত্র হাসান আহমদ চৌধুরী হাসনু(২৮)কে আটক করে পুলিশ। এবং সে সবার সামনে ঘটনার কথা স্বীকার করে বলে
আবুল কালামকে ফাঁসানোর জন্য মারুফ আহমদ এর কাছ থেকে ইয়াবা গুলি ক্রয় করে।
পুনরায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার উত্তর জিয়াপুর গ্রামের মৃত আং রহমান এর পুত্র মারুফ আহমদ (৩০) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে পুলিশের নিকট মিথ্যা সাক্ষি ও সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করায় তাদের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোঃ আব্দুন নাসের বলেন, আমরা অন্যকে ফাঁসানোর বিভিন্ন পদ্ধতির বিলোপ চাই এবং সাবধান হই। আগামীতে আর রহিম এর মতো পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি