সব
জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী আফতাব হোসেন কয়েস চৌধুরী মঙ্গলবার বেলা ১১.১৫ ঘটিকায় সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজ বাদ এশা দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ)জামে মসজিদে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করেন।
মরহুমের সংক্ষিপ্ত জীবন:
মরহুম আফতাব হোসেন চৌধুরী কয়েছ জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত কাজলসার তথা বালাউট গ্রামে ১৯৪৬ সালের ২৬ জানুয়ারি এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে সিলেট নগরীতে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছেন।
১৯৬৬ সালে মদনমোহন কলেজ থেকে তিনি বিকম পাশ করার পর কিছুদিন শিক্ষকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। কিন্তু ছাত্র জীবন থেকেই যিনি সংগ্রামী জীবনে অভ্যস্থ, তিনি শিক্ষকতা বাদ দিয়ে ব্যবসা ও সমাজসেবায় জড়িয়ে পড়েন। ছাত্র জীবনে তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় তিনি সংগঠক হিসেবে প্রভূত ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৫ সালের প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপূল ভোটে জকিগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর ৫ বছর মেয়াদে অবহেলিত জকিগঞ্জের বহু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। বিশেষত জকিগঞ্জের ভঙ্গুর যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নে তাঁর সবিশেষ অবদান রয়েছে।
তিনি জকিগঞ্জ এসোসিয়েশন সিলেটের সভাপতি ও জকিগঞ্জ গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদের উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সংস্থার সাথে জড়িত থেকে জকিগঞ্জের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন।
সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য জকিগঞ্জ গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ ২০১৭ সালে তাকে সম্মাননা ও সংবর্ধনা প্রদান করে।
মরহুম আফতাব হোসেন চৌধুরী কয়েছ এর মৃত্যুতে সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, পৌর মেয়র হাজী খলিল উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, শাব্বির আহমদ প্রমুখ, গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেন এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি