সব
সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় বোমসাদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর একটি বোম ডিসপোজাল টিম।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেল পৌনে চারটার দিকে টিমটি বোমসাদৃশ বস্তুটি মোটরসাইকেল থেকে খুলে ফেলা হয়। এরআগে বেলা ২ টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর এ টিম।
গ্রাইন্ডিং মেশিনটি উদ্ধারের পরপর বিকেল চারটায় প্রেস ব্রিফিং করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
ব্রিফিংয়ে ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল রাহাত বলেন, বস্তুটি চৌহাট্টায় পাওয়ার পরে পুলিশ বাহিনী আমাদের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর পুলিশ বাহিনীর অনুরোধে আমরা ঘটনাস্থলে এসে বস্তুটি দেখতে যাই। গিয়ে আমরা দেখি একটি গ্রাইন্ডিং মেশিন। এরপর আমরা অনেক সতর্কতার সাথে বিষয়টি খুলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই।
আর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছি। হতে পারে এটি কেউ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কেউ রাখতে পারে। তবে আমরা আরও তদন্ত করছি।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন নাইডু তার মোটরসাইকেল চৌহাট্টা পয়েন্টে রেখে চা খেতে যান। তবে তিনি ফিরে গিয়ে মোটরসাইকেলে বোমা সদৃশ একটি বস্তু দেখতে পান। বিষয়টি থানায় অবহিত করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত এসে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। সেই সাথে নগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতংক। একই সাথে বন্ধ রাখে চৌহাট্ট-জিন্দাবাজার সড়কও।
এরপর বোমা সদৃশ ওই বস্তুটি উদ্ধারে দফায় দফায় মিটিংয়ে বসে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। অবশেষে তারা ব্যর্থ হলে ঢাকা র্যাবের বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ডাকা হয়।
এদিকে গতকাল বুধবার রাত ৯ টার দিকে র্যাব-৯ সিলেটের একটি বোম ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর র্যাব-৯ বোমসাদৃশ বস্তুটি অপসারণে অপারগতা প্রকাশ করে।
পরে পুলিশের কর্মকর্তা বিষয়টি ঢাকায় জানান। এরপর ঢাকা থেকে একটি বোম ডিসপোজাল টিম বৃহস্পতিবার সিলেটে আসার কথা জানানো হয়।
অন্যদিকে রাত ১২ টার দিকে বোমা সদৃশ কাটার মেশিনটি ভাইরাল হয়ে যায়। সেইসাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন ব্যর্থতা নিয়ে রাতভর চলে নানা আলোচনা সমালোচনা।
অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর বোমার বদলে একটি গ্রাইন্ডার মেশিন উদ্ধারের মাধ্যমে বোমাতংকের অবসান ঘটলো।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি