সব
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ২৭টি গরু মহিষ আটক। অপরদিকে লালখাল সীমান্ত হতে বিএসএফ’র হাতে ৬ বাংলাদেশী আটক।
অপরদিকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত হতে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফ’র হাতে ২বাংলাদেশী আটক। জৈন্তাপুর সীমান্তের বিভিন্ন পথ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও হাতে গুনা কয়েকটি গরু মহিষ আটক করে বিজিবি’র আইওয়াশ দাবী করে সচেতন মহল।
বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, ১৫অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিজিবি গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জৈন্তাপুর উপজেলা ঘিলাতৈল ফুলবাড়ী এলাকায় ১২৮৭ নং আর্ন্তজার্তিক পিলার এলাকায় ভোর রাত ৫টায় অভিযান পরিচালনা করে হরিপুর এলাকার চোরাকারবারীদের ১৪টি ভারতীয় মহিষ এবং সকাল ৮টায় অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় ১৩ টি গরু, ৭ বস্তা মটরশুটি আটক করে ১৯ বিজিবির জৈন্তাপুর ক্যাম্পের জোয়ানরা।
অপরদিকে গত ১৪ অক্টোবর বুধবার জৈন্তাপুর উপজেলা লালাখাল বড়ঘাট এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু-মহিষ আনতে গিয়ে কোয়াতরবস্তি এলাকা হতে ২বাংলাদেশীকে আটক করে ভারতের কেলেরিয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। এসময় আরও শতাধিক মানুষ দৌড়ে পালিয়ে আসে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা জানান।
আটককৃতরা হল জৈন্তাপুর উপজেলার কামরাঙ্গী দক্ষিণ গ্রামের আব্দুস শুক্কুর এর ছেলে বতাই মিয়া(৩০) এবং গৌরীপ্রকাশ খেড়িগোল গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে রুহুল মিয়া(২৮)। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায় ভারতীয় বিএসএফ আটকৃতদের লাটমবাই থানার মাধ্যমে জোয়াই হাজতে প্রেরণ করে বলে তারা জানান। অপরদিকে হরিপুর ইউনিয়নের বালিপাড়া কুমারছটি গ্রামের নাজিম উদ্দিন(৩৫) ৪নং বাংলাবাজারা এলাকার সুজন মিয়া, কদমখাল এলাকার ২জনকে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ আটক করে নিয়েছে।
এলাকার সচেতন মহল জানান, সীমান্ত এলাকায় দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বস্তা মটরসুটি, মটর ডাল ভারতে পাচার করছে চোরাকারবারী দলের সদস্যরা যাহা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। এলাকাবাসী আর বলেন মাঝে মধ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি হাতে নামমাত্র গরু মহিষ এবং ভারতে পাচার করা কয়েক বস্ত মটরসুটি আটক দেখানো হয়।
উল্লেখ্য গত ১৩অক্টোবর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা প্রতিবাদ জানান এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। কিন্তু বৈঠকের বিজিবি ও পুলিশ উপস্থিতি থাকার পরেও চোরাচালান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অবৈধ ভাবে সীমান্ত এলাকা দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে ভারততের গরু মহিষ ও অন্যান্য সামগ্রী বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জোর দাবী জানান চোরাচালান বন্ধে যৌথ টিম গঠন করে সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করার দাবী জানান।
গরু মহিষ আটপকের বিষয় জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার রফিক আহমদ স্বীকার করলেও মানুষ আটকের বিষয় তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। অপরদিকে লালাখাল বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ২জন লোক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী আটকের বিষয় স্বীকার করেন। অন্য প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বলেন উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।
ডিবির হাওর ক্যাম্প কমান্ডার জানান আমার এলাকায় লোক মুখে শুনা কথা দুইজন নাগরিক ভারতীয় পুলিশ আটক করছে কিন্তু এখান পর্যন্ত এলাকার কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। এছাড়া মিনাটিলা বিজিবি ক্যাম্প ও শ্রীপুর ক্যাম্পের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের সীমান্ত এলাকায় এরকম কোন লোক ভারতে বিএসএফ কিংবা পুলিশের হাতে আটকের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি বলে জানান।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি