সব
ভারী বর্ষণের পর ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে চীনে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে গুয়াংডং প্রদেশের প্রধান নদী, জলপথ এবং জলাধারগুলো পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে প্রশাসন। এ অবস্থায় মারাত্বক ঝুঁকির মুখে পড়েছে ১২ কোটি ৭ লাখ মানুষ।
চীনা সরকারি সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গুয়াংডং প্রদেশের প্রধান নদী, জলপথ এবং জলাধারগুলো বিপজ্জনক বন্যার হুমকি দিচ্ছে। প্রদেশের ১২ কোটিরও বেশি মানুষকে রক্ষা করার জন্য জরুরি প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়ে স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিজিয়াং ও বেইজিয়াং নদীর অববাহিকায় পানির স্তর বেড়ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে গুয়াংডং প্রদেশের বিভিন্ন অংশজুড়ে মুষলধারে বর্ষণের কারণে নদীগুলোর পানি বেড়েছে এবং পাহাড়ী এলাকায় বন্যা শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে উত্তর গুয়াংডং শহরের জিয়াংওয়ানের ছয়টি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে মানুষ আটকা পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি এবং আটকে পড়া মানুষের মোট সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে সিসিটিভি জানিয়েছে, ভূমিধসে ‘আহত’ ছয়জনকে নিকটবর্তী শহর শাওগুয়ানে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) চীনের সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শিজিয়াং এবং বেইজিয়াং নদীর পানি অনেক বেড়ে গেছে। যে কোনো সময় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। যা গত ৫০ বছরের ইতিহাসকে ভেঙে দিতে পারে।
চুচিয়াং নদীর ব-দ্বীপ অববাহিকা চীনের সবচেয়ে জনবহুল একটি অঞ্চল। এখানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তবে ওই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর শোনা যায়নি। এছাড়া সাধারণ মানুষকে গণহারে সরিয়ে নেওয়ার কোনো প্রক্রিয়াও চোখে পড়েনি।
আগাম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি নির্দেশনা প্রদান করেছে চীনের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
গুয়াংডং কর্তৃপক্ষ আগাম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে খাবার, পানি এবং জামা কাপড় প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া পানিতে যেসব অঞ্চল ডুবে যাবে সে সব অঞ্চলের বাসিন্দাদের অন্যত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি