সব
পৃথিবীজুরে চা শিল্প সমাদৃত। বিশ্বে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ চা উৎপাদনকারী দেশ। লন্ডনভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল টি কমিটি’ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চা উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নবম।
এখানকার চা শিল্প ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামে তাদের প্রথম চা ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে চা শিল্পে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল তথা সিলেটে রয়েছে দেশের সর্বাধিক চা বাগান। কারন এখানকার উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলীয় জেলা উচ্চভূমি, উষ্ণ জলবায়ু, আদ্র এবং অতি বৃষ্টি প্রবণ এলাকাসমূহ উন্নতমানের চা উৎপাদনের মোক্ষম পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়।
বর্তমানে চায়ের বাজারে নতুন একটি নাম সাদা চা! নাম শুনেই হয়তো চমকে যাবেন অনেকে ? অবাক হওয়ারই কথা কারণ বাংলাদেশের চা শিল্পের সাথে পরিচিত মানুষজন এই সাদা চা নামের সাথে পরিচিত হয়৷ বাংলাদেশি চা প্রেমীদের কাছে সু পরিচিত রং চা, দুধ চা এবং সবুজ চা যা (গ্রীণ টি) নামে পরিচিত।
বাংলাদেশে উৎপাদিত চা রপ্তানি হয় বিশ্বের নানা প্রান্তে বর্তমানে সীমিত পরিসরে উৎপাদন করা সাদা চায়ের সিংহভাগই রপ্তানির মাধ্যমে চলে যায় বিভিন্ন দেশে৷
দেশে উৎপাদন করা ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চাম্পারাই চা বাগানে উৎপাদিত ১০ কেজি হোয়াইট টি
যাকে সিলভার নিডেল গ্রেডের ‘হোয়াইট টি’ প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের চা নিলামে তুলা হয়েছে। যা নিলামে সর্বোচ্চ দর প্রতিকেজি চা বিক্রি হয়েছে ২৫০০ টাকা কেজি দরে।
সোমবার (২৭ জুলাই) চট্রগ্রামের আগ্রাবাদে প্রগ্রেসিভ টাওয়ারে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজার কমলগঞ্জের ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চাম্পারাই চা বাগানে সীমিত পরিসরে উৎপাদন করা ১০ কেজি হোয়াইট টি যা চট্টগ্রামে নিলামে ক্যাটালগভুক্ত করে পূর্ব বাংলা ব্রোকারস। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এই হোয়াইট টি কিনে নেন শ্রীমঙ্গলের পদ্মা টি সাপ্লাই।
নিলামকারী পূর্ব বাংলা ব্রোকারস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চা নিলাম হচ্ছে কিন্তু এই প্রথমবার এই নিলাম কেন্দ্রে হোয়াইট টি উঠলো এবং নিলামে ওঠা সবহুলো চা বিক্রি হয়ে গেলো।
বাগান কর্তৃপক্ষ জানান: অনেক যত্ন নিয়ে এই চায়ের জন্য কুঁড়ি সংগ্রহ করতে হয়। যা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার তাই ইচ্ছা থাকলেও সাদা চায়ের খুব বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। এটি মূলত বিদেশি পর্যটক ও দেশের শৌখিন চা প্রেমীদের জন্য তৈরী করা।
টি ট্রেডার্স অ্যান্ড প্লান্টারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সদস্য সচিব শিক্ষক জহর তরফদার বলেন, শ্রীমঙ্গলের চা শিল্প এমনিতেই বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এখন নতুন করে হোয়াইট টির সংযুক্তি চা শিল্পের উন্নয়নের একটা বড় ধাপ বলে আমরা মনে করি। সাদা চা দেখতে অনেকটা গ্রিন টি’র মতো তবে ব্যাপক হারে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে চা প্রেমিদের কাছে এটি সহজলভ্য হবে।
শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোডস্ত “পদ্মা টি সাপ্লাই” এর স্বত্তাধিকারী মেঘনাথ হাজরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই শিল্পের সাথে জড়িয়ে রয়েছি, বর্তমানে দেশের বাজারে সবচেয়ে মূল্যবান গ্রীন টি, হোয়াইট দেখতে হালকা সাদা কিছুটা দেখতে গ্রীনটির মতো। আমাদের এখানে নিলামে আনা ১০ কেজির চায়ের ইতিমধ্যে ৮ কেজি বিক্রি হয়ে গেছে। সল্প পরিসরে উৎপাদন করায় এটি এখন অধিক মূল্যবান চা এবং এই চায়ের জন্য আমরা বিভিন্ন অর্ডার পেয়েছি ইতিমধ্যেই তবে ব্যাপক উৎপাদন হবে এটি সকলের জন্য সহজলভ্য হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি