সব
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাইয়ে লোমহর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদঘাটন করলেন জকিগঞ্জ বিয়ানিবাজার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব সুদিপ্ত রায়।
তিনি জানান, ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের নিখোঁজ ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করতে সোমবার দোকানের কর্মচারি আমির আলীকে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাকে ধরতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। তবে যে বাড়ির পুকুর পাড় থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয় ওই বাড়িটি নিহত কামাল হোসেনের। বর্তমানে ওখানে তারা কেউ বসবাস করেন না। তারা থাকেন একই ইউনিয়নের আদিনাবাদ গ্রামে।
পরিবার নিঁখোজ কামাল এর অপেক্ষা করতে করতে নিখোঁজের তারিখ ১০/০৮/২০১৯ উল্লেখ করে আদালতের দারস্ত হয়। যেটির মামলা নং ৩৫৮/২০১৯।
অনেক আইনি লড়াই শেষে আদালতের নির্দেশে ২১/০১/২০২০ ইং তারিখ বিয়ানীবাজার থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়।
এরপর সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ফরিদ পিপিএম মামলাটির বিশেষ দায়িত্ব দেন জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়কে।
দায়িত্ব পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায় নিঁখোজ কামালের সন্ধানে মাঠে নেমে অত্যন্ত গুরুত্বের সহিত তদন্ত করে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন।
আজ প্রধান আসামী আমির উদ্দীন সহ তার সঙ্গীয় কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কামাল হত্যার মূল জট খুলে তাদের তথ্যমতে কাঁদাযুক্ত হাটুজল অতিক্রম করে আলীনগর গাছতলা এলাকায় একটি পুকুরে ডুবুরি দিয়ে অনুসন্ধান করে কামালের কঙ্কাল উদ্ধার করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকায় নিহত কামাল একটি ছোট ঘর নির্মাণ করে বসবাস করেন। চারখাইয়ে তার একটি মোদি দোকান ছিলো। সেথায় দোকানের কর্মচারী হিসেবে জকিগঞ্জের আটগ্রামের আমির উদ্দীন কে নিয়োগ করলে আমির উদ্দীন পরিকল্পিত ভাবে কামালকে হত্যা করে লাশ ড্রামে ভরে পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর দোকানের মালামাল নিজ এলাকায় বিক্রি করে ফেলে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি