সব
সিলেটের গোয়াইঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে একটি মসজিদে ‘সন্ত্রাসী হামলায় ৮ মুসল্লি গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, বিছনাকান্দি কুলুমছড়া গ্রামের ছয়ুর রহমান, বিলাল আহমদ, সালাউদ্দিন সেলিম, মাসুদুর রহমান, জয়নাল আবদীন, নাসিম আহমদ ও একরামুল হক জাবের। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে এই হামলার মূল হোতা নাসির।
গত ২৯ এপ্রিল রাতে উপজেলার বিছনাকান্দি কুলুমছড়ারপার জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় মামলাও হয়েছে। তারপরও নাসিরসহ তার বাহিনীর সদস্যরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং গ্রামবাসী মুসল্লিদের নানা হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল জুমআ’র নামাযের সময় একজন মুমুর্ষ রোগীর জন্য সাহায্যের আবেদন করেন গ্রামের মুবব্বিরা। এ সময় উপস্থিত নাসির রোগী এবং মুরব্বিদের নিয়ে কঠোক্তিমূলক নানা কথাবার্তা বলেন। কঠোক্তির প্রতিবাদে ওইদিন রাতে তারাবির নামাযের পর গ্রামবাসী মসজিদে এক সভার আয়োজন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাসির ও তার সংঘবদ্ধ বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মসজিদের ভেতরেই সাধারণ মুল্লিদের উপর আচমকা হামলা চালায়। হামলায় মসজিদের ৮ জন মসল্লি গ্ররুতর আহত হন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
এ ঘটনায় কুলুমছড়ার পারের আজির উদ্দিন বাদি হয়ে নাসির ও তার দলভুক্ত ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা {নং-০১(৫)২২} করেন। মামলার এজারভুক্ত আসামীরা হলেন- সিরেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি নতুন ভাঙ্গার হাওরের মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র নাসির উদ্দিন, একই গ্রামের মৃত সফর আলীর পুত্র আব্দুল করিম, মৃত তসলিম আলীর পুত্র জালাল উদ্দিন, মকদ্দছ আলী, মনির উদ্দিন ও নূর উদ্দিন, মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র আব্দুল মন্নান, বিছনাকান্দি গ্রামের মৃত আনফর আলীর পুত্র ফারুক, উপজেলার নতুন ভাঙ্গার হাওরের আব্দুল করিমের পুত্র জুনেদ, জালাল উদ্দিনের পুত্র ছালেখ ও জুবেল আহমদ, একই গ্রামের মৃত ওহাব আলীর পুত্র কামাল, উপজেলার হাদারপার বগাইয়া গ্রামের মৃত মনফর আলীর পুত্র বুরহান উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।
হামলাকারী নাছির তার বাহিনী নিয়ে এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। ফলে নাসির বাহিনীর ভয়ে আহতদের স্বজন গ্রামবাসী ঘরছাড়া এবং তাদের নারী ও শিশুরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
এ বিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম নজরুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,‘এ ঘটনায় থানায় দুইটি মামলা হয়েছে, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের জন্য মাঠে কাজ করছে। তবে মূলহোতা নাসিরকে দ্রুত গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
গোয়াইনঘাট সার্কেল এএসপি প্রবাস কুমার সিংহ জানান- থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি