সব
সিলেটের গোয়াইনঘাটে বন সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা সারি রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. সাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অসতআচরণের অভিযোগ উঠেছে। তার যোগসাজসে বনের জমি দখল, বনের মধ্যে অবৈধ করাত কল স্থাপন, সরকারি বনাঞ্চলের কাঠ সম্পদ লুটপাট, কাঠ সাইজ করে পাচার হওয়া, চোরাই কাঠ বাজারজাতের সুযোগ করে দেওয়া, লাইন পাস বাবত গাড়ী প্রতি ১৫শ’ টাকা, রাতারগুল নৌকা থেকে টিকেট দিয়ে নেয়া হয় ৫৭ টাকা আর টিকেট ছাড়া নৌকা প্রতি চাঁদা নেন ১১৫ টাকাসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে রয়েছেন মো: সাদ উদ্দিন।
শুধু তাই নয় সাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে স্থানীয় নিরহ কেটে-খাওয়া দরিদ্র মানুষজনকে তিনি নিজের অপকর্ম ডাকতে মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানাভাবে হুমকী-ধমকী ও প্রতারণা করে আসছেন। উদারণ স্বরুপ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৯৭টি মামলা দায়ের করেন সাদ উদ্দিন। তিন বার বদলী হওয়া স্বত্ত্বেও সাদ উদ্দিন কোন অদৃশ্য শক্তিতে তিনি রয়ে যান টাকার সিলেটে। এমনকি সাদ উদ্দিনের এমন অসতআচরণ থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের একাধিক সংশ্লি¬ষ্ট দপ্তর, মানববন্ধন ও গোয়াইনঘাট থানায় নানা অভিযোগ বিভিন্ন মহলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন স্থানীয়রা। তার পরেও সারি রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. সাদ উদ্দিন বিশাল তবিয়েতে রয়েই গেছেন। এমনকি সাদ উদ্দিনের কারনে সরকার যেমন লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি গোয়াইনঘাটের প্রাকৃতিক পরিবেশ এখন বিপন্ন হয়ে হুমকীর মুখে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একটি ভিডিওতে দেখা যায় সাদ উদ্দিনের সহযোগী জহিরুলের কিছু পুলিশ, সাংবাদিক এবং আরো বিভিন্ন মহলের লোকজনকে চাঁদা দিয়ে তিনি তার অপকর্ম দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্ত পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি এ অপকর্মের জন্য তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। কিন্তু গডফাদার সাদ উদ্দিন আজও বন বিভাগের আন্ডালওয়াল্ডে রয়েই গেছেন। বিট কর্মকর্তা সাদ উদ্দিনের আদিপত্ত শুধু রাতারগুল চৌরংগিঘাটে তিনির মনোনিত কিছু লোক রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেখানে তদন্ত করতে গেলে তিনি ওইঘাটে নিয়ে যান এবং অন্য ঘাটে নিয়ে যান না। ফলে তদন্তের মুল সত্যতা বেরিয়ে আসে না।
জানা গেছে, মো: সাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে জাফলংয়ে গাছ ও পাথর হরিলুট করছে সাদ গং আসামী নিরীহ মানুষ, টাকার খোদা মিটছে না ফরেষ্টার সাদের, বন কর্মবর্তা সাদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ, জাফলংয়ে গাছ ও পাথর লুট-নেপথ্যে সাদ উদ্দিন, ভুমি হরিলুট করছে বন কর্মকর্তা-আসামী হচ্চে নিরীহ মানুষ ও বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদের বিরুদ্ধে দুনীর্তি ও ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ বিভিন্ন স্থানীয়, অনলাইন ও দৈনিকে একাধিকবার সচিত্র প্রতিবেদন করা হলেও টাকা দিয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষদের ম্যানেজ করে তার পদ বহাল রেখেছেন। এতে দরিদ্র মানুষ যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি হারাচ্ছে বঞ্চালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
এদিকে, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাতারগুল জলারবন নৌকার ঘাটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বন বিভাগ গোয়াইনঘাট রেঞ্জের বিরুদ্ধে রাতারগুল গ্রামবাসী ও নৌকার মাঝিদের মানববন্ধনে উপস্থিত ও বক্তব্য প্রদান করেন, মিনহাজ উদ্দিন, সোনা মিয়া, হারিছ মিয়া, ফখরুল ইসলাম, আব্দুল কাদির, সুফিয়ান, কয়ছর উদ্দিন, লাল আহমদ, আবুল হোসেন, খালেদ আহমদ, ইরফান আলী, কাসিম আলী, ফজলু মিয়া, লিয়াকত আলী, মনির ইসলাম, সৈয়দ আহমদ,মাজহারুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন, বাবুল আহমদ, মজন ইসলাম, লায়েক আহমদ, আসলাম উদ্দিন, শরীফ ইসলাম, জুনেদ আহমদ, সাত্তার আলী প্রমুখ।
এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, বন বিভাগ গোয়াইনঘাট রেঞ্জের সারি কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন সাথে বার বার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সমাধানের সুযোগ দেন নি। ৫৭ টাকা পঞ্চাশ পয়সা বন বিভাগ রশিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন। কিন্তু মাঝিদের কাছ থেকে নৌকা প্রতি রশিদ ছাড়া ১১৫ টাকা সংগ্রহ করা হলোও তা সরকারের রাজস্ব জমা হচ্ছে না কোথায় যাচ্ছে এই প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
সিলেটের বন বিভাগের তৌফিকুল ইসলামের সাথে শনিবার ১১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের লোকজন পর্যটক সেজে ঘটনাস্থলে যাবে যদি সেখানে কোন অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বন বিভাগের এই কর্মকর্তা।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি