সব
গোয়াইনঘাটে খাসজমিতে ফিশারী নির্মাণ নিয়ে দ্বন্ধে চিকিৎসাধীন এক ব্যাক্তি মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান।
গত ২৬ জুলাই মঙ্গলবার গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের ফুলতৈলছগাম গ্রামে খাসজমিতে ফিশারি নির্মাণের সুত্রধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে, ময়না মিয়া (৪৭) নামের এক ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।
নিহত ময়না মিয়া মৃত আরফান আলীর পুত্র।
জানা যায় ২০২১ সালে ডিসেম্বরে গ্রামে মৃত আমীর উদ্দিন এর ছেলে রশিদ আহমদ কিছু অসাধু ব্যাক্তিকে অর্থের মাধ্যমে ম্যানেজ করে গ্রামের দখলীয় খাস ও কিছু রেকর্ডীয় ভূমিতে জোর পূর্বক মৎস্য চাষের জন্যে মাটি কাটার মেশিন নামিয়ে ফিশারির নির্মাণ কাজ শুরু করে।
ওই জায়গায় গ্রামের প্রান্তিক শ্রেণীর লোকজন ফসল উৎপাদন, মাছ ধরা, জ্বালানী কাঠ ও গৃহনির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
উপকার ভূগীরা কাজে শান্তিপূর্ণভাবে বাধা দিলে গত ৭ এপ্রিল সিলেট জজ কোর্টে তাদের উপর চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে রশিদ নামের এক ব্যাক্তি। মামলা নং-১৬।
রশিদ ও তার সহযোগীরা নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার লোভে গ্রামের ভোগদখলীয় কিছু নিলামের জন্যে গত ২৬ জুলাই গ্রামের সরকারি প্রাইমারী স্কুলে এক বৈঠক ডাকে। বৈঠকে ফিশারির নির্মাণে দ্বিমত পোষনকারীরা উপস্থিত মুরব্বিয়ান দের অনুরুধ করেন , আমাদের উপর দায়ের করা মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার ব্যাপার আগে আলোচনা করে নিষ্পত্তি করুর পরে বিল নিলাম করবেন।এই বক্তব্যের সুত্র ধরে কথা কাটাকাটির জের ধরে তাদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্কুল ঘরে আগে থেকেই লুকিয়ে রাখা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফিশারি নির্মানে ভিন্নমত পোষনকারীদের উপর সুলফী, দা, রুইল নিয়ে হামলা করে। ঐ হামলায় ২০ জনের মতো আহত হন। আহতরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল, গোয়াইনঘাট উপজেলা হাসপাতালে ও স্থানীয় ফার্মেসীতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
আহতদের মধ্যে ময়না মিয়া নামের একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।
এসব বিষয়ে গত ২৮ জুলাই ছফুর মিয়া বাদী হয়ে রশিদ ও তার সহযোগীদের আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৩৮৩।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি