সব
গোলাপগঞ্জে নির্মাণাধীন সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই প্রেক্ষিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপিকে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সাংবাদিকরা অবগত করলে তিনি তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রকৌশলী নজরুল হাকিমের সাথে কথা বলে টেকনিক্যালের কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন।
এরআগে সোমবার সকালে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের একটি ভবনের প্রথম তলার ছাদ ডালাইয়ের কাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর পর এলাকাবাসীর নজরে আসে ডালাই কাজে ব্যবহৃত বালু ও পাথর নিম্নমানের। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বালুর বেশির ভাগই পলিমাটি মিশ্রিত এবং কাজে ব্যবহৃত পাথর লালচে রঙের। পাথর গুলোর উপরের দিক সাদা রঙের পাথরের প্রলেপ দিয়ে ডাকা। পরে তাৎক্ষণিক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ জানালে কাজে নিয়োজিত সাইট ইঞ্জিনিয়ার এর সদুত্তর দিতে পারেননি।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল খালিক বলেন, নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত বালুর মধ্যে মাটি ও কাঁঁদার মিশ্রণ রয়েছে। এছাড়া মরা ও কাঁদাযুক্ত পাথরের উপরে এক স্তর সাদা পাথরের প্রলেপ দিয়ে ঢাকা।
অনিয়ম প্রসঙ্গে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এম আহমদ ট্রেডার্স এন্ড এমআর কন্সট্রাকশন এর স্বত্ত্বাধিকারী মারুফ আহমদ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এব্যাপারে মুঠোফোনে শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৬সেপ্টেম্বর প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে গোলাপগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি