সব
নাটোরে বিয়ের প্রলোভনে এক গার্মেন্টসকর্মীকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত প্রেমিকসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গত দুদিন অভিযান চালিয়ে এই ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা গণধর্ষণের ঘটনা এবং অপরাদীদের গ্রেপ্তারের বিবরণ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হরিশপুর এলাকার সাদিক শেখের ছেলে সাদ্দাম (২৬), হানিফ-মন্ডলের ছেলে ফারুক মন্ডল (২৭), আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল পাটোয়ারী এবং পাটুল গ্রামের বাসের ড্রাইভার রাশেদ মিয়া (২৫)।
পুলিশ সুপার জানাান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার এক ওই মেয়ে গার্মেন্টসে কাজ করতো। আরপি পরিবহনে যাতায়োতের পথে আরপির হেলপার রাশেদুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১০ আগস্ট রাশেদুল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাটোরে ডেকে নিয়ে নলডাঙ্গা থানার পাটুল গ্রামে নিয়ে যায়। লোকজনের সন্দেহ হলে সেখান থেকে হরিশপুর এলাকার আব্দুল্লাহর বাড়িতে মেয়েটিকে তোলা হয়।
এরপর তাদের একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এ অবস্থায় গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় রাশেদুল বেড়ানোর কথা বলে ওই মেয়েকে হরিশপুর বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায়। এরপর সাদ্দাম, রুবেল ও ফারুক দুইটি মোটরসাইকেলে মেয়েটিকে নিয়ে হরিশপুরের ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যায়।
এ সময় মেয়েটির সাথে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগে রাখা নগদ ৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে ধর্ষণ করা হয়। পরে রুবেল ও ফারুক মোটরসাইকেলে করে মেয়েটিকে নিয়ে হরিশপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসে উঠিয়ে দেয়ার জন্য গেলে মেয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। রুবেল মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে মেয়েটি বাদী হয়ে নাটোর থানায় মামলা করলে গত ১৫ আগস্ট সাদ্দাম ফারুক ও রুবেল, সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে আজ সকালে ড্রাইভার রাশেদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি