সব
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় গতি এসেছে। আগামী সোমবারের মধ্যে দুপক্ষের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। খবর আলজাজিরার।
সোমবার বাইডেনের সাক্ষাৎকার রেকর্ড করা হয়। তবে তা মঙ্গলবার সম্প্রচার করে এনবিসি।
গাজায় কখন যুদ্ধবিরতি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আচ্ছা, আমি সপ্তাহের শেষের দিকে আশা করি। আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন, আমরা (চুক্তির) কাছাকাছি আছি। তবে আমরা এখনো তা সম্পন্ন করিনি। আমার আশা আগামী সোমবারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান আসছে। এই রমজান মাসে গাজায় কোনো ধরনের সামরিক অভিযান না চালানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে ইসরায়েলি পক্ষ। (হামাসের হাতে) বন্দি জিম্মিদের মুক্তি করাতে আমাদের সময় দিতেই রাজি হয়েছে ইসরায়েল।’
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন আরেকটি চুক্তি সম্পাদনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এবারের আলোচনার মূল লক্ষ্য গাজায় যুদ্ধবিরত এবং হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করা। এ ছাড়া এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি