সব
সিলেটের খাদিমনগরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শুক্রবার বিকেলে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা শফিক মিয়া।
মামলায় ১ ও ২ নাম্বার আসামি করা হয়েছে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগরের সালেহপুর গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে তোয়াহিদ (২০) এবং তোফায়েল-কে (২২)। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো একই গ্রামের উসমান গণি (৪৭), শামসুল হক (৫৫), আব্দুল গণি (৫০)। তাদের তিন জনের পিতার নাম (মৃত) কনু মিয়া। এছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলো আফতাব উদ্দিন উরফে শামসুল হক ও তার ছেলে ছেলে পিয়াস আহমদ (১৯) এবং মাসুক মিয়ার ছেলে পাপ্পু মিয়া (২৩)। আসামিদের মধ্যে আফতাব উদ্দিন উরফে শামসুল হক সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উল্লেখিত আসামিরা এলাকার দাঙ্গাবাজ ও ভূমিখেকো। অন্যের ভু-সম্পত্তি আত্মসাৎ করা তাদের নেশা ও পেশা। মামলার বাদি নিহতের পিতা শফিক মিয়া নিজেকে একজন কৃষিজীবী উল্লেখ করে বলেন, আফতাব উদ্দিনের সাথে আমার সম্পত্তি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলমান থাকায় মনোমালিন্য চলে আসছিলো। এরই জের ধরে আমাকে ও আমার ছেলেক খুন খারাপিসহ আমার পরিবারের অনিষ্ট সাধনের সুযোগের প্রতিক্ষায় ছিল আসামি আফতাব। ঘটনার দিন আমার ছেলে তানভিরের গতি বিধি লক্ষ্য করে উল্লেখিত আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় আমার ছেলেক খুন করার উদ্দেশ্যে অবস্থান নেয়। নিহত তানভির স্থানীয় তুষার মিয়ার বাড়ী থেকে জ্বালানী কাঠ কেটে ভ্যান যোগে বাড়ীতে এনে পূণরায় ভ্যান ফেরত দেয়ার জন্য বের হয়। ভ্যানটি ফেরত দিয়ে স্থানীয় লিটল লন্ডন মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করে সে। নামাজ পড়ে বাড়ীতে ফেরার পথে আসামী আফতাব উদ্দিন চিৎকার করে বলে ‘তোমরা কে কোথায়? শালার বেটা যায়গি, তারে ধরে খুন করে ফেল।’
আফতাবের এমন কথা শুনার পর আন্যন্য আসামিরা এসে নিহত তানভিরকে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে আফতাবের হুকুমে মামলার ১ নাম্বার আসামি তোয়াহিদ তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তানভিরের মাথার মধ্যখানে আঘাত করলে সে মারাত্মক আহত হয়। অন্যান্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। আসামিরা নিহতের মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য শরীরে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে চিৎকারে আমি (নিহতের বাবা) এগিয়ে আসলে আমার দিকে তারা মারমুখি হয়। এমন পর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তানভিরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে সে মারা যায়।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার ৩নং খাদিমনগরের ইউনিয়নের ছালেহপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় তানভির আহমদ (২০) খুন হন বুধবার রাতে। তিনি ওই গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে।
এয়ারপোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার আব্দুস সাত্তার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি