সব
সিলেট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে মঙ্গলবার (১৮আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২০ উদযাপন করা হয়েছে।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “মাতৃদুগ্ধদানে সহায়তা করুন, স্বাস্থ্যকর পৃথিবী গড়ুন”। প্রত্যকটি শিশু জন্মের সাথে সাথে মায়ের বুকের দুধ দানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর পৃথিবী গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পালিত হয়েছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২০। এ বছর ৯-১৬ আগস্ট ২০২০ সপ্তাহ ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচিসহ করোনাকালীন সময়েও শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করার মধ্য দিয়ে সপ্তাহটি উদযাপিত হয়েছে।। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২০ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এমটিইপিআই ফারুক আহমদের সঞ্চালনায় ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান রাসেলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. শরমিতা আচার্য্য, ডা. খাদিজা বেগম, ডা. আরিফুল ইসলাম এবং এফআইভিডিবি সূচনা প্রকল্পের নিউট্রিশন অফিসার মো: হানজালা রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো এবং ৬ মাসের পর বয়সভেদে বাড়তি খাবার খাওয়ানো ও ২ বছর বয়স পর্যন্ত দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাওয়া, দুধ খাওয়ানোর আগে মায়ের তরল খাবার খাওয়া, বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় অবস্থান ও সংযোগের গুরুত্ব সহ মাতৃদুগ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব ও উপকারীতা সম্পর্কে ডা. মো: কামরুজ্জামান রাসেল কৌটার দুধের অপকারীতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তিনি আরো বলেন, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও ব্রেন ডেভেলপমেন্টে এর ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধে বিকল্প নেই। শিশুকে দুধ খাওয়ানো বিষয়টা পুরোটাই কাউন্সিলিং এর উপর নির্ভর করে। তাই বিশেষ করে গাইনী বিভাগকে এই কাউন্সিলিং করার উপর জোড় দিতে হবে।
এ ছাড়াও কমিউনিটি ক্লিনিকে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ – ২০২০ উপলক্ষে বিশেষ কাউন্সেলিং করা হয় এবং সূচনা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং করেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি