সব
সর্বনাশা করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। আক্রান্ত ও প্রাণহানি পাহাড়সম হচ্ছে। এরইমধ্যে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন ৭ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসাব রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ পরিসংখ্যান বলছে, বুধবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত মহামারীতে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২ হাজার ৭৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মারা গেছেন ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৬৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ১৭ হাজার ২৩৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন ৬০ লাখ ১৫ হাজার ৬৩৩ জন। ৬৫ হাজার ৪৩৭ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই যুক্তরাষ্ট্রের। যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ জন, ব্রাজিলে ৯৬ হাজার ৯৬ জন, মেক্সিকোতে ৪৮ হাজার ১২ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৬ হাজার ২৯৯ জন, ভারতে ৩৯ হাজার ৮২০ জন, ইতালিতে ৩৫ হাজার ১৭১ জন, ফ্রান্সে ৩০ হাজার ২৯৬ জন ও স্পেনে ২৮ হাজার ৪৯৮ জন।
কিছুদিন আগেও আক্রান্তের দিক থেকে সবার শীর্ষে থাকা দেশ চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চীনে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৪৬৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের।
ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। দেশগুলোতে দিন দিন বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ২৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জন।
বিশ্বব্যাপী জুলাই মাসে করোনা সবচেয়ে বেশি ভোগানোর পর আগস্টেও একই ধারা অব্যাহত। গত মাসে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
৩০ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আনুষ্ঠানিক হিসাব শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী করোনা রোগীর সংখ্যা কোটি ছাড়ায় জুনের শেষ দিকে। এরপর শুধু জুলাই মাসেই ৬৯ লাখ ৪১ হাজার ৫২০ জন নতুন রোগটিতে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।
ডব্লিউএইচওর দিনভিত্তিক হিসাব পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাচ্ছে, গত ২০ দিনে করোনা বেশি ছড়িয়েছে। এই সময়ে প্রতিদিন দুই লাখের বেশি করে মানুষ কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি