সব
কানে কম শোনা রোগীদের জন্য সুখবর: সিলেট ওসমানী মেডিকেলে শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের অধীনে চলতি অর্থবছরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি।
গত মঙ্গলবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রকল্পের কর্মসূচি পরিচালক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল হুদা নাঈম।
বধিরতা দূরীকরণে এমন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সিলেটবাসীর পক্ষ হতে ডা. নাঈম প্রথমে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ সরকারকে। একই সাথে ধন্যবাদ জানান সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় আমন্ত্রী জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী, অত্র কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ময়নুল হক, হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুসুর রহমান, উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এবং সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ডা. নুরুল হুদা নাঈম বলেন- আমাদের এখন লজিস্টিক সাপোর্ট প্রয়োজন। প্রকল্পের অংশ হিসেবে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অপারেশন থিয়েটার, হিয়ারিং সেন্টার, অডিটরি ভারবাল থেরাপিস্ট রুম এবং কাউন্সিলিং রুমের কাজ অচিরেই শুরু হবে। সিলেটবাসীর জন্য অপ্রক্ষা করছে এক সুবর্ণ সুযোগ। সদাশয় সরকার বধিরতা নিরসনে এমন প্রকল্প হাতে নেয়ায় নাক-কান-গলা বিভাগের পক্ষ হতে তিনি আবারো বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুসুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন- আমাদের পক্ষ হতে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সকল সাপোর্ট থাকবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমাদের প্রয়োজন ট্রেইন্ড চিকিৎসক, অডিওলজিস্ট ও অডিটরি ভারবাল থেরাপিস্ট। বিভিন্ন কমিটি গঠন করে খুব শীঘ্রই প্রকল্পের বাকি কাজ সম্পন্ন হবে।
হাসপাতাল উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় তার বক্তব্যে সিলেট বাসীর জন্য এমন একটি সুযোগ প্রদানের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নাক-কান-গলারোগ ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের সকল চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে প্রতি হাজারে দুইজন শিশু বধিরতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সে হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৬০০ শিশু বধিরতা নিয়ে জন্মায় এবং প্রায় সমসংখ্যক জনগোষ্ঠী শ্রবণশক্তি নিয়ে জন্মালেও জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময়ে বধিরে পরিণত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বাংলাদেশে বধিরতার হার শতকরা নয় দশমিক ছয় ভাগ।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি