সব
সিলেটের কানাইঘাটে বিএনপির মিছিলকে কেন্দ্র করে সোমবার (১২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে কানাইঘাট পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়, চেয়ার, টেবিল সহ আসবাবপত্র।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কানাইঘাট পূর্ব বাজার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করলে সরকার দলের কতিপয় নেতাকর্মীরা লাঠি-সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে বলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মামুন রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক শরিকুল হক দাবী করেন।
একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছুড়ার ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান, বিএনপি নেতা এখলাছুর রহমান, যুবদল নেতা খাইরুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা রাসেল আহমদ, আনোয়ার, ছাইফুর রহমান আহত হন। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মাধ্যমে পিছু হটিয়ে বাজারে মিছিল করে এবং মিছিল পরবর্তী পূর্ব বাজারে পথসভা করে। পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মামুন রশিদ মামুন সহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ। পথসভায় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের শান্তিপুর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী কর্তৃক হামলা চালিয়ে দলের নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।
বিএনপি নেতাকর্মীরা পথসভা শেষ করে বাজার ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বিকেল ২টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের শতাধিক নেতাকর্মীরা কানাইঘাট বাজারে প্রতিবাদ মিছিল বের করে পূর্ব বাজারে গিয়ে কানাইঘাট পৌর বিএনপির থালাবদ্ধ কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে বাজার পয়েন্টে চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বাজার পয়েন্টে প্রতিবাদ সভা করে আওয়ামীলীগ। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম সহ নেতৃবৃন্দ বলেন, কানাইঘাটে মিছিলের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। তাদের মিছিল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। ভবিষ্যতে বিএনপি বা ছাত্রদল কানাইঘাটে কোন অরাজতার সৃষ্টি করলে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে মোকাবেলা করবেন বলে জানান।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাজারে পুলিশের উপস্থিতিতে তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। মিছিল শুরুর সময় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহমান, কাহির আলী, রোমান আহমদ নোমান, মিজান সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা তাদের মিছিলের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতকির্ত হামলা চালায়। এতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহ ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে তারা বাজারে শান্তিপূর্ণ মিছিল পরবর্তী পথসভা করে চলে যাওয়ার পর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর করে এবং সমস্ত আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।
অপরদিকে, কানাইঘাটে বিএনপি ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও কাপুরোষিত আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি