সব
জাতীয় দলের একের পর এক ফুটবলার আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। দ্বিতীয় দিনের করোনা পরীক্ষায় আরও সাতজনের ফলাফল পজেটিভ এসেছে। এর ফলে দুদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১।
দ্বিতীয় দিনে আবাহনীর টুটুল হোসেন বাদশাহ, সোহেল রানা, শহীদ আলম, বসুন্ধরা কিংসের ইব্রাহিম, সুশান্ত ত্রিপুরা, আনিসুর রহমান জিকো ও রবিউল হাসানের কোভিড শনাক্ত হয়। জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া বাকি ৭ ফুটবলারের করোনা টেস্ট করা হবে শনিবার।
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় পর্বের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলের ২০ জনের বুধবার করোনা টেস্ট হয়েছিল। প্রথম দিনে নাজমুল ইসলাম রাসেল, এমএস বাবলু ও মাসুদ রেজার পজেটিভ আসে। ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ স্বস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন আগেই।
এ নিয়ে চিন্তিত জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে ক্যাম্পের শুরুটা ভালো হল না। আমি এখন তাকিয়ে রয়েছি অন্য খেলোয়াড়দের দিকে।’
ক্যাম্পে ডাক পাওয়া বসুন্ধরা কিংসের তিন ফুটবলার মতিন মিয়া, মাসুক মিয়া জনি ও আতিকুর রহমান ফাহাদকে পাচ্ছেন না জেমি। এই তিনজন বসুন্ধরার তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করবেন বলে জানা গেছে।
ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া ও ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক রায়হান কাজী এখনও বাংলাদেশে আসতে পারেননি। যদিও ক্যাম্পে আর কোনো নতুন ফুটবলার ডাকার পক্ষে নন কোচ।
তার কথায়, ‘এই মুহূর্তে নতুন করে ক্যাম্পে খেলোয়াড় নেয়ার কোনো চিন্তা নেই। আশা করি, করোনা আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ক্যাম্পে ফিরবে।’
জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু ও সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার দ্বিতীয় দিনে টেস্ট শেষে ৫ ফুটবলারকে নিয়ে গাজীপুরের সারা রিসোর্টে আইসোলেশন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় দলের প্রস্তুতির ক্যাম্পের এমন বেহাল অবস্থায় মেডিকেল কমিটির সাথে আজ জরুরি বৈঠকে বসবে বাফুফে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি