সব
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন দুই হাজার ৫৮১ জন। একই সময়ে আরও দুই হাজার ৭০৯ জনের দেহে মিলেছে এ ভাইরাস। ফলে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ দুই হাজার ৬৬ জনে।
শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ হাজার ৬৩২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৯২৩টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ১৭ হাজার ৬৭৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৭০৯ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ দুই হাজার ৬৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৪ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৫৮১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৭৩ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ১০ হাজার ৯৮ জনে।
গতকালের তথ্য
গতকাল শুক্রবারের (১৭ জুলাই) বুলেটিনে বলা হয়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ হাজার ৪৬০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৩৪ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু- উভয় সংখ্যাই কমেছে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
বরাবরের মতো বুলেটিনে সবাইকে, বিশেষ করে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান ডা. নাসিমা। তিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরামর্শও দেন।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসের থাবায় গোটা বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ৪২ লাখের বেশি। মৃতের সংখ্যা প্রায় ছয় লাখ। তবে পৌনে ৮৫ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি