কমলগঞ্জে রোগীদের মাঝে করোনা আতঙ্ক!

সালাহ্উদ্দিন শুভ,কমলগঞ্জ;
  • প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২:০৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ভাইরাসজনিত জ্বর (ভাইরাল ফিভার)-এর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ থেকে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে শিশু থেকে বৃদ্ধ-সকল বয়সের মানুষই এ ভাইরাসজনিত জ্বরের আক্রান্ত হচ্ছেন।

এদিকে, ভাইরাসজনিত এ জ্বর অনেকের ভেতরে ধরিয়ে দিয়েছে করোনা আতঙ্ক। সরকারী হাসপাতালের ছেয়ে প্রাইভেট ডাক্তারদের চেম্বারের দিকে রোগীরা বেশী ভীড় করছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে দ্বায়িত্বরত ডাঃ সৌমিত্র সিংহ জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের বেডে ১৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া প্রতিদিনই ৫০-৬০ জন রোগী বহির্বিভাগে এসে সেবা গ্রহন করছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই জ্বর,সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে আসছেন। আমরা তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে যাওয়ার জন্য বলছি। সেই সাথে তাদের ঔষধও দেওয়া হচ্ছে। আগে মানুষ যেভাবে সচেতন ছিলো এখন তেমন সচেতন নয়।

তিনি আরও বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য সরকারি ফি প্রদান করতে হবে শুনে অনেকেই নমুনা দিতে আগ্রহী নয়। আগে হাসপাতালে অনেকে মাস্ক পড়ে আসতো কিন্তু এখন আর মাস্ক পড়ে না।

জ্বরে আক্রান্ত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, জ্বর হলে শীত শীত ভাব, মাথা ব্যথা, শরীরে ও গিরায় ব্যথা, খাওয়ায় অরুচি, ক্লান্তি, দূর্বলতা, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, কাশি, অস্থিরতা ও ঘুম কম হয়। এছাড়াও শিশুদের টাইপ বি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমনে পেট ব্যাথা হতে পারে।

ডাঃ সৌমিত্র সিংহ আরো জানান, এ ধরণের রোগীদের প্রচুর পানি পান করা এবং বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।এ জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিকও জরুরি নয়। সাধারণত: প্যারাসিটামল খেলেই হয়। ভাইরাস জ্বর ৩/৫ দিন পর্যন্ত থাকে। তবে স্থায়িত্বকাল এর বেশি হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি