কমলগঞ্জে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত প্রবাসীরা চরম দূর্ভোগের শিকার

সালাহ্উদ্দিন শুভ,কমলগঞ্জ;
  • প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত করোনায় আটকা পড়া প্রবাসীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। দুই দফা টিকেট করার পর যাত্রা বাতিল হয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। প্রবাসীদের মধ্যে কারো ভিসার মেয়াদ, কারো টিকেটের মেয়াদ, কারো একামার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে পড়ায় তারা ভোগান্তি ও ঋণগ্রস্ত হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। প্রবাসের কর্মস্থলে ফিরে যেতে সরকারের সহায়তা দাবী করে ইতিপূর্বে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বরাবরে আবেদনসহ স্থানীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।

করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা সভার বাসিন্দাসহ প্রবাসীরা দূর্ভোগ ও কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা চেয়ে গত ৭ জুলাই পতনঊষার ইউনিয়নের কিছু প্রবাসীরা কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় মন্ত্রী বরাবরে আবেদন করেন এবং ১১ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আবার সরকারের সহায়তা দাবি করেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন ধরণের সহায়তা পাচ্ছেন না বলে কমলগঞ্জের প্রায় অর্ধশত প্রবাসী এ অভিযোগ তুলেছেন।

আবুদাবি থেকে আসা পতনঊষার ইউনিয়নের আহমেদ আলী অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ জানুয়ারী ২ মাসের জন্য আবুদাবি থেকে তিনি দেশে আসেন। দুইমাস পর গত ১৯ মার্চ প্রবাসে কর্মস্থলে ফেরত যাওয়ার জন্য ৩৮ হাজার টাকায় টিকিটও করেছিলেন। পরে করোনা মহামারির জন্য টিকিট বাতিল হয়। দ্বিতীয় দফায় সিলেটে গিয়ে করোনা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করে ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে গত ১৯ আগষ্টের টিকিট করেছিলেন। এরপর সে টিকিটও বাতিল হয়ে যায়।

এ দিকে আহমেদ আলী আরো একজন বলেন, দেশে আসার পর থেকে টাকা পয়সা সব শেষ হয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। তারপর বারবার খরচ করেও প্রবাসের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। তাছাড়া দুই দফা অনলাইনেও আবেদন করেছি। কোন কাজ হচ্ছে না। এখন নিঃস্ব হয়ে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছেন।

ওমান থেকে আসা সালেহ আহমদ বলেন, চিকিৎসার জন্য গত ৩১ মার্চ একমাসের ছুটি নিয়ে দেশে আসেন। এরপর করোনার কারণে দেশে আটকা পড়েন। পুনরায় ওমানের কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেও যেতে পারেননি। অথচ ৩ সেপ্টেম্বর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে চলবো তা ভেবে পাচ্ছি না।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, সরকার প্রবাসীদের প্রতি সবসময় আন্তরিক রয়েছেন। তাদের লিখিত আবেদন যথাসময়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া প্রবাসে যেতে আগ্রহীদের অনলাইনে আবেদন করতেও বলা হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, প্রবাসীদের একটি ফরম পুরণ করে উর্দ্বতন অফিসে প্রেরণ করা হচ্ছে। এছাড়া আপাতত তাদের জন্য আর কোন নির্দেশনা আসেনি।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি