সব
আকস্মিকভাবে ২৭ জুলাই সোমবার থেকে ধলই চা বাগান বন্ধ ঘোষণার পর সমস্যা সমাধানে বুধবার কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে ধলই চা বাগানের শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালীর কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা বলেন, ধলই চা বাগান খুলে দেবার ও সমূহ সমস্যা সমাধানে বুধবার কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে চা বাগান মালিক পক্ষ, চা শ্রমকি ইউনিয়ন ও ধলই চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির ত্রীপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় শ্রম অধিদপ্তর শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের শ্রম কর্মকর্তা মোশাহিদ বক্স চৌধুরী, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ প্রতিনিধি শামছুল ইসলামসহ সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় ধলই চা বাগানে অভিযুক্ত ব্যবস্থাপকের চা বাগানে প্রবেশ নিয়ে চা শ্রমিকদের জোর আপত্তির কারণে চা বাগান কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সভায় বৃহস্পতিবার ধলই চা বাগান শ্রমিকদের সাপ্তাহিক বকেয়া মজুরির টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে ধলই চা বাগানের নিবন্ধিত ৫৯২ জন শ্রমিক ও অনিবন্ধিত ৪৩০ জন শ্রমিকের সাপ্তাহিক মজুরি প্রদান করেছে ধলই চা বাগান কোম্পানী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধলই চা বাগান কোম্পানীর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলেয়ে ধলই চা বাগান ১ হাজার ২২ জন শ্রমিকের সাপ্তাহিক মজুরি প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৪ আগষ্ট আবারও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে ধলই চা বাগান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি