সব
ওসমানীনগর উপজেলা ভাই-বোন ও নিজেদের পারিবারিক সমস্যায় তাদেরই আত্নীয় উমরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেতনা একাত্তর তরুণ সংঘের সভাপতি উমরপুর ইউনিয়নের হামতনপুর গ্রামের হাজি সাইস্তা মিয়ার ছেলে মতিউর রহমানকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে সামাজিকভাবে হেয়পতিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান এ অভিযোগ করেন।
মতিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি সিলেটে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোল্লাপারা গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদ ওরফে ফটিক মিয়ার স্ত্রী ও মৃত আফতাব মিয়ার মেয়ে দলা বেগম রেজিয়া আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য রেখেছেন। তার দুই প্রবাসী ভাইয়ের সম্পদ সুরক্ষার জন্য আমাকে দেয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি কেড়ে নিতে এবং লোভের বসবর্তি হয়ে পারিবারিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। দলা বেগম তার বক্তব্যে উলেখ করেছেন- আমার সহযোগিতায় তার যুক্তরাজ্য প্রবাসী দুই ভাই বশির মিয়া ও নজির মিয়া তাদেরকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার কুটকৌশল করছেন। মুরব্বিদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আমি নাকি তাদের মাসহ ৪ বোনের নাম বাদ দিয়ে উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেছি। এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আমি কোন জালিয়াতি করিনি। একসময় তাদের ভাইবোনদের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। তখন তারা সবাই একত্রে বসেই বোনেরা সম্পত্তি নিবেন না বলে সম্মত হয়ে আমাকে এটা করতে বলেছিলেন। সেখানে কয়েকজন মুরব্বির স্বাক্ষরও রয়েছে। যারা স্বাক্ষর দিয়েছেন তারা সবাই জীবিত। এখন বশির ও নজির মিয়ার সাথে তাদের বোনদের দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে কয়েকটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায়। আর তাই তারা আমাকেসহ নিজের সহোদর ভাইদেরও প্রতারক বলছেন। এর পেছনে আছে দলা বেগমের প্রতারণা ও জালিয়াতির আরেক জঘন্য ইতিহাস।
তিনি বলেন, দলা বেগমের পিতা মৃত আফতাব মিয়ার ওসমানীনগরের জেএল নম্বর ৭৫, স্থিত গ্রামতলা মৌজার বিএস ৩৭০ নম্বর খতিয়ানের ১৪৮৭ নম্বর দাগে ৩ শতক ও বিএস ৪৫ খতিয়ানের ১৪৮৩ নম্বর দাগের প্রায় ৩ শতক জমি রয়েছে। বাস্তবতা হলো, এই প্রায় ৬ শতক জমির মধ্যে আফতাব মিয়ার যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছেলে বশির মিয়ার নিজের টাকায় কেনা ৩ শতক ভূমি রয়েছে। এই ভূমি দলা বেগম কৌশলে তার মুহুরির আনছর মিয়াকে দিয়ে তার পিতার নামে কাগজপত্র তৈরি করেছিলেন। বশির মিয়া যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ২০১৬ সালে বিষয়টি জানতে পারলে ভাই ও বোনের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। সেই বিরোধের এক পর্যায়ে দলা নিজের দোষ স্বীকার করে এসব সম্পদে তার বা তার অন্যবোনদের কোন লোভ নেই, তারা ফরাইজ নিবেন না বলে আশ্বস্ত করেন। তখন সবাই একমত হয়েই উত্তরাধিকার হিসাবে দুই ভাইকে মনোনীত করেছিলেন। তাদের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উত্তরাধিকার সনদ নিয়ে নামজারী করানো হয়েছিল।
মতিউর বলেন, সম্পর্কে বশির মিয়া আমার চাচা। দেশে তার সম্পত্তি দেখাশোনার আর কেউ না থাকায় আমাকে তিনি সেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি তা সততার সাথে পালন করেছি বা করছি। বশির মিয়া গত বছরের ২১ জানুয়ারি আমাকে তার আমমোক্তার নিয়োগ করেন। এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৪ লেন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন সরকার। এই খবর প্রকাশ হলে আনছর ও তার অন্যান্য সহযোগীদের প্ররোচনায় পড়েন দলা বেগম। ১৫/১৬ লাখ টাকার (প্রতি শতক) জমির দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬০/৬৫ লাখ টাকা। নড়ে চড়ে বসে কুচক্রিরা। তারা দলা বেগমকে নানাভাবে প্ররোচিত করলে লোভের ফাঁদে পড়েন তিনিও। একসময় ফরাইজের জমি নিবেন না বলে পারিবারিকভাবে সম্মত হলেও এখন তিনি তা নিতে চাইছেন এবং সেজন্য সহজ পথে না হেঁটে রীতিমতো বাঁকা পথ ধরেছেন। বশির মিয়া ও নজির মিয়া তাদের ৪ বোনকে বঞ্চিত করার চিন্তা কখনো করেন নি বা তেমন কোন কাজও করেননি। উক্ত প্লটের অপর ৮ ডেসিমিল জমির মালিকের সাথে সীমানা নিয়ে যে মামলা দায়ের করেছেন বশির ও নজির মিয়া সেখানেও তারা উলেখ করেছেন যে এই ভূমির অংশীদার দলা বেগমসহ তারা ৬ ভাইবোন ও মা। তাহলে এখানে বোনদের বঞ্চিত করা হচ্ছে কিভাবে?
মতিউর আরো বলেন, আমি যে বশির ও নজির মিয়ার সম্পত্তি দেখাশোনা করি বা যে পাওয়ার অব অ্যাটর্ণী তারা আমাকে দিয়েছেন সেখানে পৈতৃক সম্পত্তির কেবল মাত্র বশির ও নজির মিয়ার অংশ (তাদের মা ও ৪ বোনের অংশ দেশে থাকা দলা বেগম ও তার অপর বোন ভোগ করছেন) আমি দেখাশোনা করছি। যে জমির বর্ণনা তিনি দিয়েছেন সেই জমিতে থাকা দোকান কোটার ভাড়াও বর্তমানে তাদের সিদ্ধান্তে তৃতীয়পক্ষের কাছে জমা রাখা আছে। আমি তা ভোগ করছিনা। আর অন্যান্য সম্পদ জমির ধান বা পুকুরের মাছ কেবলমাত্র বশির ও নজির মিয়ার অংশের টুকু তাদের পক্ষে আমি নিয়েছি। বাড়ির কোন অংশের গাছ আমি কাটিনি। পুকুরের মাছ তিনি বার বার নিলেও আমি নিয়েছি মাত্র একবার। তিনি বলেছেন- প্রতিবাদ করায় আমি তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। এটিও ডাহা মিথ্যা কথা। আমি নয়, বরং আনছর মুহরির প্ররোচণায় তিনিই আমাকে ঐ বাড়িতে প্রবেশে নিষেধ দিয়েছেন। এমনকি আমাকে মারধোর ও প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছিলেন আনছল ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে আমি গত ২২ জুন ২০২০ তারিখে ওসমানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলাম। আনছইরের অপর সহযোগীরা হচ্ছে রফিক ও তোরণ মিয়া সহ কয়েক জন। এখনও তারা আমমোক্তার নামা না দিলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি বা আমার বাবা আনছর মিয়ার উপর কখনো হামলা করিনি। তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে। রাজনৈতিক দলের কর্মী আমি, তবে কখনো আমি গ্রামের কাউকে পুলিশ ম্যানেজ করে হয়রানি করেছি, এমন কোন ঘটনা কখনো ঘটেনি।
তার বিরোদ্ধে অতিতের মামলা সম্পর্কে বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি। বর্তমানে আমি উমরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেতনা একাত্তর তরুণ সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে আমি স্কুল জীবনে সিকন্দরপুর উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, উমরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ওসমানীনগর উপজেলা তরুণলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছি। আরো বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতি
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি