সব
এবারের বিপিএলে যেন এক হতাশার নাম সিলেট স্ট্রাইকার্স। গত আসরের ফাইনালিস্টরা এবারের আসরে একের পর এক ম্যাচ হেরেছে। টানা ছয় ম্যাচের পর সপ্তম ম্যাচে গিয়ে একমাত্র জয়টি এসেছে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে। যেটিকে সিলেটের অধিনায়ক ‘প্রথমত স্বস্তির এবং দ্বিতীয়ত আফসোসের’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। আশা ছিল ওই জয় আত্মবিশ্বাস জোগাবে আসরের পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য তবে না এক ম্যাচ পরেই আবার আসল রূপে ফিরল সিলেট। রংপুর রাইডার্সের কাছে বড় পরাজয়ে সপ্তম হারের লজ্জা নিয়ে সিলেট পর্বের ইতি টানল ঘরের দল।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মাঠে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্স। ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে রংপুর। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান করে সিলেট। তাতে ৭৭ রানের বিশাল জয় পায় রংপুর। রংপুরের শেখ মেহেদি ১৩ রানে আর মোহাম্মদ নবি ১৭ রানে নেন তিনটি করে উইকেট। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।
১৬৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারানোর মিছিলে নাম লেখায় সিলেট। দলের হয়ে কেউ থিতু হতে পারেননি উইকেটে। বিপিএলের চলতি আসরে টানা ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত আজ ফিরেছেন ১ করে। আরেক ওপেনার হ্যারি টেক্টর করেন ৬। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরেছেন জাকির হাসান (৪), আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (১), সামিত প্যাটেল (১১), শামসুর রহমানরা (৩)।
শেষ দিকে রায়ান বার্ল কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও সেটি হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনো কাজে লাগেনি। বার্ল শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৪৩ রান করে আউট হয়েছেন।
ম্যাচটিতে রংপুরের তারকা ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে সফল হয়েছেন। প্রথম ওভারেই তিনি তুলে নেন মেডেন উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে আরও একটি উইকেট তুলে নেন। পরের ২ ওভারে অবশ্য আর কোনো উইকেট পাননি। ৪ ওভারে তিনি ১৮ রান দিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
এর আগে টস হেরে বাবর আজম ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের রানে ভর করে ১৬২ রানের সংগ্রহ গড়ে রাইডার্স বাহিনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন পাকিস্তানি তারকা বাবর। আর সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সামিত প্যাটেল ও হ্যারি টেক্টর।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি