এএসপি শামীম আনোয়ার প্রচেষ্টায় রাউজান ধূতাঙ্গ কুটিরে উত্তেজনা নিরসন

সিলেট ডায়রি ডেস্ক;
  • প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২০, ২:০৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের আবুরখীল গ্রামে ধূতাঙ্গ কুটির নামের এক বৌদ্ধ বিহারে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে পূর্ণার্থীদের দর্শনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (১৪ আগষ্ট) এই ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে বিহারের প্রতিষ্ঠাতা শীলানন্দ স্থবির
( ধূতাঙ্গ ভান্তে) এর অনুসারী ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে উত্তেজনা পশমিত হয়।

ঘটনার শিকার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভি বড়ুয়া বলেন, আমাদের ধূতাঙ্গ ভান্তে দীর্ঘদিন অনাহারে ছিলেন। গত শুক্রবার সকালে আমি ও আমার বন্ধুসহ কিছু খাবার নিয়ে ধূতাঙ্গ কুটিরে যাচ্ছিলাম। কুটিরের সন্নিকটে পৌঁছালে দুইজন লোক এসে আমাদের কুটিরে যেতে বাঁধা দেয়। এই সময় আরো কয়েকজন পূর্ণার্থী ছিল।

বাঁধা প্রদানকারীরা আমাদের বলেন ভিতরে যাওয়া যাবে না, লকডাউন চলছে। তখন আমি তাদের জিজ্ঞেস করালাম কারা লকডাউন করেছে। তখন তারা জানালেন প্রশাসন লকডাউন করেছে। আমি তাদের বললাম আমিও পুলিশে চাকরি করি। প্রশাসন লকডাউন করলে এখানে পুলিশ থাকার কথা। একথা বলার সাথে সাথে তার আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এমন সময় সিএনজি যোগে ওদের আরো ১৫ জন মত চলে আসল। আমি সাথে সাথে ৯৯৯ কল করে পুলিশকে স্থান ও ঘটনার বিবরণ দিয়। এরমধ্যে ওরা আমার উপর হামলা করে এবং আমাকে আহত করেন। এদের মধ্যে আমি তপু বড়ুয়া নামের একজনকে চিনেছি।

স্থানীয় অলকেশ বড়ুয়া তপু বলেন, আমি কুটির পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য। কুটিরটি আমাদের। কুটিরে ভান্তেকে আমরা এনেছি। কিন্তু বহিরাগতরা আমাদের গ্রামবাসীকে বাদ দিয়ে গোপনে মিটিং করার পায়তারা করছিল। আমরা তাদের বিনয়ের সাথে চলে যেতে বলেছি। কারো সাথে মারামারি হয় নি।

এই বিষয়ে আবুরখীল গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য অমিত বিজয় বড়ুয়া বলেন, ভান্তে গ্রামবাসীকে অগ্রাহ্য করে বহিরাগতদের নিয়ে সবকিছু করছেন। বহিরাগতরা গ্রামের গুণীজনদের ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে দিচ্ছেন। এটা অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এসেছিলেন। আবুরখীলের আমরা দুই বড়ুয়া ইউপি সদস্যকে সেখানে নিয়েগিয়েছিল। তিনি ভান্তেসহ স্থানীয়দের বিষয়টি মিমাংসা করে নেওয়ার জন্য বলেন।

বিরাজমান পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার ( রাঙুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দুপক্ষের সাথে কথা বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এএসপি আনোয়ার বলেন “শান্তিভঙ্গের আশঙ্কার কথা শুনে আমরা সেখানে যাই এবং উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়া থেকে নিবৃত্ত করি। আমাদের মধ্যস্থতায় দুপক্ষই উত্তেজনা নিরসনে একমত হয়। তারপরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে সাদা পোশাকে উপস্থিতি এবং টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি