উবারের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি উদযাপন, ১ বিলিয়ন কিলোমিটার ট্রিপ শেষ

সিলেট ডায়রি ডেস্ক;
  • প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২ বছর আগে

আজ বাংলাদেশে কার্যক্রমের ছয় বছর উদযাপন করলো উবার। এই সময়ের মধ্যে প্ল্যাট ফর্মে ১ বিলিয়ন কিলোমিটার ট্রিপ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি টি। সমান দূরত্ব অতিক্রম করে পুরো পৃথিবী ৪০,০০০ বার ঘুরে আসা যায় অথবা ১,২৯০ বার চাঁদে গিয়ে ফিরে আসা যায়।

উবারের মাধ্যমে বাংলাদেশে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। এই যাত্রায় উবার বাংলাদেশের ২০টি শহরে লাখ লাখ যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করছে।

কার্যক্রমের শুরু থেকেই বারবার প্রতিটি ট্রিপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে উবার। একই সাথে সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ও সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠান টি।

এই প্রতিশ্রতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে আজ বাংলাদেশ পুলিশের সাথে যৌথ উদ্যোগে চালকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণের কথা ঘোষণা করেছে উবার। এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হলো চালকদের মধ্যে ট্র্যাফিক আইন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপ পরিচালনা করবেন বাংলাদেশ পুলিশের দু’জন এবং উবারের একজন প্রতিনিধি। এখানে সড়ক নিরাপত্তা, ট্র্যাফিক আইন কানুন, অফলাইন ট্রিপ, ট্রিপ ক্যান্সেলেশন ও নগদ টাকা ছাড়া ট্রিপনিতেরা জিনাহ ওয়া ইত্যাদি বিষয়ে চালকদের সচেতন করে তোলা হবে।

ষষ্ঠবর্ষ পূর্তির এই মাইল ফলক অর্জন সম্পর্কে উবারের বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের প্রধান আলী আরমানুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের কার্যক্রমের ছয় বছর পূর্ণ হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। উবারের প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের যাতায়াত সমস্যার সমাধান, তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উপার্জনের সুযোগ তৈরি করতে পেরে আমরা নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করি। বর্ষপূর্তির এই বিশেষ মুহূর্তে আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সব চালক ও যাত্রীদের, যারা সব সময় আমাদের উপর আন্তরিক বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছেন।”

যুক্ত রাজ্য ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পাবলিক ফার্স্ট-এর সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অনুসারে, বাংলাদেশের ৯৫% যাত্রী বলেছেন যাতায়াত কালীন স্বস্তিতাদের উবার ব্যবহার করার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। বাংলাদেশি যাত্রীদের মতে, গত এক দশকে পরিবহন খাতেতাদের দেখা সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ উদ্ভাবনটি হলো রাইড শেয়ারিং। শুধু ২০২১ সালেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আনুমানিক ৪,৫০০ কোটি টাকা অবদান রেখেছে উবার। এর মধ্যে উবারের মাধ্যমে চালকদের উপার্জনের প্রভাব এবং বৃহত্তর পরিসরে কোম্পানির বিস্তৃত সরবরাহ ব্যবস্থায় পরোক্ষ ও বহুমুখী প্রভাব উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বাংলাদেশে রাইডশেয়ারিং শিল্পের পথিকৃৎ হিসেবে উবারই প্রথম নিজেদের প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু জরুরি সেফটি ফিচার চালু করে। এ সব ফিচারের মধ্যে আছে অ্যাপে জরুরি কন্ট্যাক্ট নম্বর ৯৯৯ অন্তর্ভুক্ত করা, পরিবার-পরিজনের সাথে ট্রিপ ও লোকেশন শেয়ার করার ফিচার, একটি সার্বক্ষণিক সেফটি হটলাইন চালু করা, এমনকি মহামারি চলাকালীন চালক ও যাত্রীদের জন্য কোভিড প্রটোকল চালু করা।

উবার সম্পর্কিত তথ্যসচলতার মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করা ইউবারের লক্ষ্য। আপনি কীভাবে বাটনের এক চাপে যাতায়াতের জন্য একটি গাড়ি পেতে পারেন? এ সমস্যার সমাধান খুঁজতে আমাদের শুরুটা হয় ২০১০ সালে। ১৫ বিলিয়নেরও বেশি ট্রিপ সম্পন্ন করার পর, এখন আমরা সেসব সার্ভিস তৈরির প্রচেষ্টায় নিয়োজিত যেগুলো একজন ব্যক্তিকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। শহরের যাতায়াত ব্যবস্থা, খাদ্য এবং জিনিস পত্র আনা-নেওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে উবার সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি