সব
উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উন্নয়নমুখী মানুষ;খায়রুল হুদা চপল তাঁরই একজন!
দুইশত আটষট্টি বর্গকিলোমিটার এলাকার নয়টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সদর উপজেলা। রয়েছে হাজারো মানুষের বসবাস এবং সেই মানুষগুলোর চোখে রয়েছে হাজারো স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরণ করতে আসন্ন ৫ জুন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেচে নিতে হবে যোগ্য একজন প্রার্থীকে। যিনি হবেন সদর উপজেলাবাসীর প্রত্যেকটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের স্বপ্নসারথি।
তেমনি একজন স্বপ্নসারথি হচ্ছেন আসন্ন ৫ জুন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিগত ২০১৯ সালে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যন খায়রুল হুদা চপল।
যিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স সম্পূর্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১৯৯০ সালে জসিম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্র রাজনীতি শেষ করে সুনামগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। শিক্ষাকতার পেশা নিষ্ঠার সাথে সম্পূর্ন করে মনোযোগী হয়ে উঠেন সুনামগঞ্জের স্থানীয় ব্যবসায়।
স্থানীয় ব্যবসায় একের পর এক সফলতা অর্জন করেন। তখন নির্বাচিত হোন ব্যবসায়ী সংগঠন “সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রীজ” এর সভাপতি। খায়রুল হুদা চপল চেম্বার অব কমার্স থেকে প্রতি বছর শিক্ষা বৃত্তি প্রদান,নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন বিতরণ, সুনামগঞ্জ পৌর শহরকে সিসি ক্যামেরায় আওতায় নিয়ে আসা শহ নানা জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন।
অন্যান্য প্রার্থী থেকে খায়রুল হুদা চপল ব্যাতিক্রমের আরেকটি জায়গা হচ্ছে জনমুখী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান খায়রুল হুদা চপল! গ্রাম্য মতপার্থক্যের সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সরকারি বাহিনী দ্বারা হয়রানি করেননি এবং করবেন না।
সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ইতিপূর্বে চিরচারিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েও জনগণের রাজনীতি থেকে খায়রুল হুদা চপলকে পিছু হটানো যায় নি। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উন্নয়নমুখী মানুষ। খায়রুল হুদা চপল সদর উপজেলার ডলুরা শুল্ক স্টেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স থেকে নিরলসভাবে কাজ করছেন। ডলুরা শুল্ক স্টেশন বাস্তবায়ন হলে সদর উপজেলা তথা সুনামগঞ্জ জেলার অর্থনৈতিক বিপ্লব হবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকগণ।
২০১৬ সালে যুবলীগের রাজনীতে সক্রিয় হোন। নির্বাচিত হোন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক। সেই সময়টুকুই এক ধারে সফল ব্যবসায়ী এবং জেলা যুব জাগরনের অগ্রদূত হয়ে উঠেন। হয়ে উঠেন জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্তাভাজন। সর্বশেষ নব-গঠিত জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সম্মানীত সদস্য নির্বাচিত হোন। নির্বাচিত হোন রুপপুর পারমাবিক কেন্দ্রের পরিচালক। প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোন নিজের হাতের তৈরী করা প্রতিষ্ঠান ইউরোগ্যাস (এলপিজি) বাংলাদেশ এর।
গত ২০১৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপহার দেন নৌকা প্রতীক। সদর উপজেলা পরিষদ দীর্ঘ বিশ বছর ছিল বিএনপি অধ্যুষিত। উনি বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে প্রথম নির্বাচিত হোন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এর সিলেট বিভাগ থেকে প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হোন। এর আগে ছিলেন এফবিসিসিআই এর পরিচালক। নির্বাচিত হোন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার। কিছুদিন আগে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তিন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন -১.পরিচালক- বাংলাদেশ পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিঃ। ২.পরিচালক- বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড । ৩.পরিচালক- বিআরটিএ
আসন্ন ৫ জুন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমন উন্নয়নমুখী ও সরকারের উন্নয়নের পদযাত্রী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে খায়রুল হুদা চপল সদর উপজেলার জন্য এক অনন্য যোগ্য প্রার্থী। তাই আমি মনে করি; সদর উপজেলার সচেতন নাগরিকগণ তাদের মহা মূল্যবান ভোট যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে খায়রুল হুদা চপলকে প্রয়োগ করার মাধ্যমে তাদের কাঙ্খিত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।
লেখক
সিনিয়র সহ-সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,সুনামগঞ্জ জেলা শাখা।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি