সব
ঈদ মানেই ছুটি, আর এ ছুটি উপভোগ করার জন্য প্রতি বছর সিলেটে পর্যটকদের ঢল নামে। ঈদের পর পর সিলেটের চা-বাগান মাড়িয়ে চলা, জাফলং, সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল খাদিমনগর উদ্যান কিংবা বিছানাকান্দি, সাদা পাথরসহ সকল পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় লক্ষণীয় থাকলেও এবার করোনা মহামারির কারণে ঈদুল আযহায়ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রেখেছে প্রশাসন।
তাই ভ্রমণ পিপাসুদের এবার ঈদেও গা ভাসানো হবে না স্বচ্ছ জলরাশির লালাখাল, অবলোকন হবে না অপার সূন্দর্যের সাদা পাথর, কিংবা প্রমোদতরী ভাসান হবে না হাকালুকির হাওরে।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই দেশের সকল পর্যটন স্পটের ন্যায় সিলেটে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সিলেট জেলা প্রশাসন। এর পর থেকে সুনসান নীরবেই অপেক্ষমাণ পর্যটনকেন্দ্রগুলো যেন নিজেদেরকেই মেলে ধরছে খুলা আকাশের নিচে।
এসবের পাশাপাশি অলিকুল শিরোমণি শাহজালাল (র.) ও শাহপরাণ (র.) মাজার জিয়ারতে আসেন ভক্ত আশেকান ও ভ্রমণপিপাসোরাও। সিলেটের এসব দর্শনীয় স্থান এবারো ঘুরে দেখা হচ্ছেনা পর্যটকদের।
এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজি এমদাদুল ইসলাম বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা এখনো তুলে নেওয়া হয়নি। জেলা কোভিড-১৯ বিষয়ক কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ আছে। তাই করোনা মহামারির কথা বিবেচনায় পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের না যাওয়ার জন্যও বলেন তিনি।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করবে জেলা পুলিশ। সিলেটের জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় পর্যটন এলাকায় লোক সমাগম বন্ধে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি