সব
আসন্ন কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে কামারদের কর্মব্যবস্থা বাড়ে দ্বিগুণ। পশু কোরবানির প্রয়োজনীয় যন্ত্র দা, ছুরি, বটিসহ বিভিন্ন যন্ত্রের চাহিদাও বাড়ে মানুষদের। মানুষদের চাহিদা মেটাতে এসময়ে হিমশিম খেতে হতো কামারদের। কিন্তু এবার তার উল্টো। প্রথমে মহামারী করোনা এরপর তিন দফা বন্যায় ঘরবন্দি মানুষ। জমে উঠছে না এবার কোরবানির হাটও। এ যেন কামারদের মরার উপর খাড়াড় ঘা।
জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার, শান্তিগঞ্জ, পাথারিয়া, আক্তাপারাসহ বিভিন্ন বাজার মিলে প্রায় ১০-১৫ টির মতো কামার পল্লীতে ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদকে ঘিরে কামররা দা, ছুরি, চাপাতিসহ অন্যান্য দেশীয় লোহার জিনিসপত্র তৈরী করছে ঢিলেঢালাভাবে। যেসময়টা টুং টাং শব্দে কামারপট্টিগুলোতে কর্মব্যবস্থতা থাকার কথা সেখানে এখন শুনশান নিরবতা। এতে কাঙ্খিত ক্রেতা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন কামারীরা।
পাগলাবাজারের বানু দে বলেন, একদিকে করোনা আরেকদিকে তিনদফা বন্যায় মানুষ যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তেমনি আমরাও দিশেহাড়া হয়ে পড়েছি। এক মৌসুমে আমরা যা উপার্জন করি তা দিয়ে সারাবছর চলতে হয়। কিন্তু এবার কোরবানির ঈদে নিজের পরিবারের খরচটুকুও করতে পারবো না।
বীরগাঁও রোড সংলগ্ন সুরঞ্জিত দে নামের আরেক দোকানদার বলেন, টানা তিন বারের বন্যার কারণে এবার গত ঈদের চেয়ে কাজ কম। তবে বাজারে আমদানিকৃত হাতিয়ার আসায় আমাদের তৈরি জিনিসের চাহিদা বহুগুণে কমে গেছে। ফলে পূর্বপুরুষের এই পেশা ধরে রাখা দুষ্কর হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
রতন দে নামের আরেকজন বলেন, করোনার পর বন্যায় মানুষ এখন কমবেশি ক্ষুত্রস্থ হয়েছেন। তাই হয়তো তারা এবার কোরবানি দিচ্ছেন না। বেঁচা কেনা নাই। এসময়ে দোকানে ক্রেতার ভিড় থাকার কথা কিন্তু এখন ক্রেতা নেই। অথচ অন্যান্য বছর এ সময়ে দোকানে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় থাকতো। কীভাবে সংসার চালাবো সেই চিন্তায় আছি, সরকারী সহযোগিতা পেলে হয়তো আমরা এ পেশায় ঠিকে থাকতে পারি ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপাকে পড়া সব শ্রেণী পেশার মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারী ত্রান ও প্রনোদনা দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি