ইউএনওর ওপর হামলা চালিয়েছেন অফিসের কর্মচারী: পুলিশ

সিলেট ডায়রি ডেস্ক;
  • প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৫:৪১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর তাঁরই অফিসের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী হামলা চালিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার ১০ম দিনে শনিবার বিকেলে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ওই কর্মচারীর নাম মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বিরল উপজেলার ধামাহার গ্রামের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হামলার দায় স্বীকার করেছেন ওই কর্মচারী।

ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, রবিউল ইউএনওর অফিসের কর্মচারী ছিলেন। তিনি সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত আছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সেগুলো মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে রবিউল হামলা চালিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছেন কিনা, তা খুঁজে বের করা হবে।
সংবাদ ব্রিফিং শেষে রবিউলকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করে। দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাইল হোসেনের আদালত তাঁর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট ও উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ব্যাগ থেকে ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়। সেই সময় উপজেলা কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রবিউলকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি তখন জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করেননি। পরবর্তী সময়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁকেই টাকা চুরিতে শনাক্ত করা হয়। শাস্তি হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা এবং সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনার প্রায় আট মাস আগে তিনি জেলা প্রশাসকের বাংলোতে ফরাশ পদে কাজ করতেন। সেখানে তাঁর কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় ঘোড়াঘাট উপজেলায় বদলি করা হয়।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি