আ.লীগ নেতা কামাল হত্যার ঘটনায় নবীগঞ্জে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধি,নবীগঞ্জ ;
  • প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২০, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার এম.এ.খালেক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়নের হলদারপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কামাল মিয়া (৩৫) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জুলাই) নিহত কামালের স্ত্রী রাজনা আক্তার বাদী হয়ে ২৮ জনকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নবীগঞ্জ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন রবিবার ( ২৬ জুলাই) রাতে জানান, শনিবার সুনামগঞ্জ থেকে হাবিবুল মিয়া নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেন। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত হবিবুলকে রবিবার হবিগঞ্জের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করা কলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে হাবিবুল। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ার ভাঙ্গা ইউপির শিবগঞ্জ বাজারের পাশে এম.এ. খালেক স্বাস্থ্য কমল্পেক্সের সামনে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে কামাল মিয়াকে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। বানিয়াচং উপজেলার হলদারপুর গ্রামের নিহত কামালের চাচাতো ভাই ইসলাম উদ্দিন প্রায় এক বছর পূর্বে একইভাবে দুর্বৃত্বদের হাতে খুন হন। ইসলাম উদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম স্বাক্ষী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কামাল। প্রভাবশালী খুনিদের রক্ষা করতে রাজনৈতিক ক্ষমতা খাটানোর অভিযোগ করে আসছিলেন কামাল মিয়া। বিচারের দাবিতে সুচ্চারও ছিলেন তিনি। জনৈক এক নেতা কামালসহ অনেককে কালানজুড়া ইউনিয়ন অফিস সংলগ্ন মাঠে এক সভায় হুমকি দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। যদি রাজনীতির ছত্রছায়ায় না রেখে ইসলাম উদ্দিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হতো, এখন হারাতে হতনা কামাল মিয়াকে এমনই দাবি কামালের স্বজনদের। মায়ের একমাত্র সন্তান কামাল মিয়া। বৃদ্ধা মা, এক প্রতিবন্ধি শিশু, ২৪ দিনের নবজাত শিশুসহ চারটি শিশু সন্তান নিয়ে কামাল মিয়ার স্ত্রী রাজনা বেগম বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এলাকাবাসীর প্রশ্ন ইসলাম উদ্দিনের মতো কামাল হত্যারও কি একই পরিনতি হবে? না কি এবার বিচার পাবে কামালের পরিবার!

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি