সব
বাংলাদেশের তিন নাগরিককে ভারতের আসামে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামের করিমগঞ্জের এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। গড়া হয়েছে বিশেষ কমিটিও। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
দ্যা ওয়াল তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাতের অন্ধকারে ভারতের আসামে প্রবেশ করেছিল সাত বাংলাদেশি। অচেনা লোক দেখে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা দল বেঁধে এসে তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করে। পরে স্থানীয়রা তাদের মারধর করতে শুরু করে। রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায় চার জন। বাকি তিন জনকে প্রবল মারধর চলতে থাকে। শেষে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে।
আসাম পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ মিথ্যে নয়। সেই উদ্দেশ্যেই সাত জন বাংলাদেশের নাগরিক করিমগঞ্জের একটি চা বাগানে গিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে দড়ি, বেড়া কাটার দা-সহ একাধিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
করিমগঞ্জের এএসপি প্রশান্ত দত্ত জানান, বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে গরু চুরি করতে আসামে ঢুকেছিল সাত জন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মারধরে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। লাঠি, বাঁশ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাদের।
তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি