সব
সিলেট তখন নতুন বিভাগ হয়েছে। নতুন করে প্রশাসনিক বিন্যাস চলছে। শহরের কোলাহল এড়িয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয় শহরের প্রান্তিক এলাকা আলমপুরকে। সুরমার দক্ষিণপারের আলমপুরে একে একে মাথা তুলতে শুরু করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়, সিলেট শিক্ষাবোর্ড, বিভাগীয় পাসপোট অফিস। কিন্তু আলমপুর তখনও যেনো ‘শহরে’র বাসিন্দাদের কাছে ‘অচেনা’।
যদিও আলমপুরের কাছের গোটাটিকরে আগে থেকেই বিসিক শিল্পনগরীর অবস্থান। তবুও কখনওই পাদপ্রদীপের আলোয় আসেনি সেই আলমপুর কিংবা গোটাটিকর। সেবার আলমপুরকে চিনিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন আলমপুরেরই সন্তান সাংবাদিক মঈন উদ্দিন ভাই। দৈনিক শ্যামল সিলেটের তরুণ সাংবাদিক মঈন উদ্দিন ভাইয়ের কলমে পরিচিতি পায় আলমপুর। ‘আলমপুর কতদূর’ শিরোনামে তার সে প্রতিবেদনে তিনি ‘দূরে’র আলমপুরকে শহরের কাছে নিয়ে এসেছিলেন।
তারপর সিলেট পেলো নগরের মর্যাদা। প্রতিষ্ঠিত হলো সিটি কর্পোরেশন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই আলমপুরসহ আশপাশের এলাকা ২৭ নং ওয়ার্ড হিসেবে অংশ হয় নগরের। তবে ২২ বছরেও ঠিক যেনো নগর হয়ে উঠতে পারেনি ২৭ নং ওয়ার্ড। প্রদীপের নীচের অন্ধকারের মতোই ছায়াময় হয়ে আছে এখনও। নগরের অংশ হয়েও যেনো নগর থেকে বিচ্ছিন্ন। মঈন উদ্দিন ভাইকে হয়তো এ বিষয়টি পীড়া দেয়। কলমের শক্তিতে তো আর সকল সমস্যার সমাধান হয় না। কলমের শক্তিতে একবার নিজের এলাকাকে চিনিয়েছিলেন মঈন উদ্দিন ভাই। এবার তিনি নতুন লড়াইয়ে নেমেছেন। নিজের এলাকাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও দৈনিক একাত্তরের কথার উপসম্পাদক মঈন উদ্দিন ভাই শুধু স্বপ্ন দেখেন না, অন্যদেরও স্বপ্ন দেখাতে জানেন। আবার স্বপ্নকে মুঠোবুন্দি করার অদম্য শক্তিও রয়েছে তার মাঝে। এরই মাঝে তিনি ২৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে নিজের স্বপ্নকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এবার স্বপ্নকে মুঠোবন্দি করার পালা।
… জয়তু মঈন উদ্দিন ভাই
দেখা হবে বিজয়ে…
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি