আরিফ নিজেই দিলেন ‘কামরান চত্বর’ নামকরণের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২০, ১:২৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৪ বছর আগে

নগরীর বন্দরবাজারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) সামনে নবনির্মিত চত্বরকে ‘কামরান চত্বর’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সেই সাথে সিটি পয়েন্টসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণের জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে সিসিক।

মঙ্গলবার সিসিকের সাধারণ সভা শেষে বিকেল ৪টায় নগরভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

প্রেসব্রিফিংয়ে মেয়র বলেন, ৯ মাস আগে থেকে আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নামের প্রস্তাব আসছে এই পয়েন্টে নামকরণের জন্য। তখন আমাদের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বেঁচে ছিলেন। কামরান ভাইয়ের মৃত্যুর পর উনার ছেলে শিপলু আমকে বলেছিলো , আঙ্কেল আমার বাবার নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করলে ভালো হয়। এদিকে এই চত্বর নির্মাণে অর্থায়ন করেছে একটি বেসরকারি ব্যাংক। তাদের সুবিধার্থে তাড়াহুড়ো করে চত্বরটি উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে নামকরণ করা হয়নি। সিটি পয়েন্টকেই বাংলায় নগর চত্বর বলে অভিহিত করা হয়েছে।

চলমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা মঙ্গলবার সকল কাউন্সিলরদের নিয়ে সাধারণ সভা করেছি। এ সভায় আমি এই চত্বরের নাম কামরান চত্বর হিসেবে প্রস্তাব করেছি। আমাদের সকল কাউন্সিলর এতে সম্মতি প্রদান করেছেন। নামকরণের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্তের পর মন্ত্রণালয়ে নামের প্রস্তাব পাঠানো হবে।

করোনাকালীন সময়ে সিসিকের মেয়র বলেন, যারা এই সংকটময় সময়ে সিসিকের ফান্ডে খাদ্যদ্রব্য দেয়ার পাশাপাশি নগদ টাকা দিয়ে সহযোগীতা করেছেন তাদেরকে সিসিকের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। সিসিকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান এসেছে ৩১ লাখ ৫৫ হাজার। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে সিসিককে দেয়া হয় ১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই টাকা থেকে নগরীর ইমাম-মোয়াজ্জিনদেরকে দেয়া হয় ১৪ লাখ, কওমি মাদরাসায় দেয়া হয় ৬ লাখ ২৪ হাজার, সেলুনে বিতরণ করা হয় ৪ লাখ ২৫ হাজার, পুরোহিতদেরকে দেয়া হয় ১ লাখ। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে টাকা বিতরণ করা হয়।

মেয়র আরও বলেন, সিসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৫২ হাজার ২শত টাকার খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করা হয়। এরমধ্যে চাল ২৮০ মেট্রিক টন, আলু ২১ দশমিক ৫০০ মেট্রিক টন, লবণ ৩৭ টন, ডাল ৭১ দশমিক ৮০০ মেট্রিক টন, পেয়াজ ৭০ দশমিক ৩৩০ মেট্রিক টন এবং ৬৯ হাজার ৪৮০ লিটার তৈল বিতরণ করা হয় সিটি করপোরেশন এলাকায়।

এছাড়া মেয়র সভায় জানান, নগরীতে কোরবানির পশুর বৈধ হাট দুটি। কাজিরবাজারের স্থায়ী হাট ও দক্ষিণ সুরমার ট্রাক টার্মিনালে অস্থায়ী পশুর হাট। এর বাইরে কোনো হাটের অনুমোদন নেই বলেও নিশ্চিত করেন মেয়র আরিফ।

শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি