সব
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার তার ক্ষমতাকে নিজের হাতে রাখা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাটাকে সম্পূর্ণরূপে করায়ত্ত করার জন্য ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী করেছে। এই সংশোধনী সম্পূর্ণরূপে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিপন্থি।
বুধবার (০৫ জুলাই) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ফখরুল। রাত সোয়া ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়। তিনি বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতে কোনো অনিয়ম হলে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করলে একটা এলাকার নির্বাচন বাতিল করতে পারত। সেখানে আবার পুনঃনির্বাচন ঘোষণা করতে পারত। নতুন সংশোধনীতে এ ব্যবস্থা রহিত করে সরকার আবারও প্রমাণ করল তারা জোর করেই এবং তাদের মতো করেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়। জনগণকে পুরোপুরিভাবে হতাশ করতে চায়। জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়। ভোটের অধিকার হরণ করেই এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এবার জনগণ যে আন্দোলন করবে তার লক্ষ্য একটাই, তা হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে ওই নির্বাচন করতে হবে। এবারের আন্দোলন হবে চূড়ান্ত আন্দোলন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুগপৎ আন্দোলন যারা করছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অতিদ্রুত চূড়ান্ত কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করব। একটা কথা নিশ্চিত এবারের যে আন্দোলন হবে তা চূড়ান্ত আন্দোলন। এবারে আন্দোলনে সব মানুষ সম্পৃক্ত হবে এবং জনগণ তার অধিকার আদায় করে নেবে।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। আমরা একমত হয়েছি যে, বিএনপি আগামীতে যে কর্মসূচি ঘোষণা করবে আমরাও সেই কর্মসূচি পালন করব এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে সমমনা জোটের পক্ষে ড. ফরহাদ ছাড়া জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (একাংশের) ব্যারিস্টার নাসিম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি