সব
বিভিন্ন কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-দুবাই ও ঢাকা-আবুধাবি রুটে টিকিটের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে স্বীকার করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকা-দুবাই ও ঢাকা-আবুধাবি রুটে যেসব যাত্রী পূর্বে ফিরতি টিকিট করার পরও করোনাভাইরাসের কারণে তখন যেতে পারেননি, আগে তাদের টিকিট দেয়া হবে।
রোববার (১৬ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা-আবুধাবি-ঢাকা রুটে ছয়টি, ঢাকা-দুবাই-ঢাকা রুটে সাতটি, ঢাকা-লন্ডন-ঢাকা রুটে একটি, ঢাকা- কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে দুটি, ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে দুটি ও ঢাকা-হংকং-ঢাকা রুটে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
করোনাভাইরাসের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উপরন্তু দুবাই ও আবুধাবিগামী কোনো ফ্লাইটে ২৪০ জনের বেশি যাত্রী পরিবহন না করার ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। উক্ত নির্দেশনার কারণে বিমানের বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজে ৪১৯ জন ও বোয়িং- ৭৮৭-৮ এ ২৭১ জন যাত্রী পরিবহনের সুযোগ থাকলেও তা করা যাচ্ছে না। এছাড়া আবুধাবিতে বিমান পরিচালনার জন্য সেখানকার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শিডিউল এখন পর্যন্ত না দেয়ায় বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-আবুধাবি-ঢাকা রুটের ফ্লাইটের সেপ্টেম্বর মাসের টিকিট বিক্রি করা যাচ্ছে না। শিডিউল অনুমোদনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই সমস্ত কারণে বর্তমানে ঢাকা-দুবাই ও ঢাকা-আবুধাবি রুটে টিকিটের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ঢাকা-দুবাই ও ঢাকা-আবুধাবি রুটে যেসব যাত্রী পূর্বে ফিরতি টিকিট করার পরও করোনার কারণে তখন যেতে পারেননি আগে তাদের টিকিট দেবে। উল্লেখ্য যে, ফিরতি টিকিট রি-ইস্যু করার জন্য কোনো যাত্রীকে অতিরিক্ত কোনো টাকা দিতে হবে না। ফিরতি টিকিট রি-ইস্যু করা সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল নতুন করে টিকিট বিক্রি শুরু করা হবে। এছাড়া আবুধাবি রুটের সেপ্টেম্বরের শিডিউল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন হওয়া মাত্রই এ মাসের টিকিট বিক্রি করা শুরু হবে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি