সব
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন (টিকা) বাংলাদেশে নিয়ে আসবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আর এতে সহযোগিতা করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এজন্য ভারতের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো।শুক্রবার কোম্পানি দুটির পক্ষ থেকে এক যৌথ ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উন্নয়নে ইন্ডিয়ার বৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডে (এসআইআই) বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বিপিএল)। এই বিনিয়োগ অগ্রিম হিসেবে বিবেচিত হবে। ভ্যাকসিনটি যখন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাবে, তখন যেসব দেশ সবার আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।এ
সআইআই-এর মালিক ও প্রধান নির্বাহী আদর সি পুনাওয়ালা এবং বিপিএল-এর প্রিন্সিপাল শায়ান এফ রহমান ওই যৌথ বিবৃতিতে জানান, অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এই ভ্যাকসিন যেসব মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছে দিতে ভারত ও বাংলাদেশের দুটি শীর্ষ স্থানীয় ফার্মা কোম্পানিকে একসঙ্গে করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার যে গভীর সদিচ্ছা, তারই প্রতিফলন হিসেবে এই চুক্তি মাইলফলক হয়ে থাকবে। দুই জাতির প্রতিনিধি হিসেবে, একসঙ্গে আমরা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সংকট নিরসনে অনেক দূর যেতে পারবো।
বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন নিশ্চিতের ব্যবস্থাও করবে বিপিএল। বাংলাদেশ সরকার এবং এসআইআই-এর মধ্যে সম্মত হওয়া মূল্যে অগ্রাধিকারমূলক সরবরাহের জন্য চাহিদামাফিক ভ্যাকসিন সংরক্ষণের প্রস্তাব দেওয়া হবে সরকারকে। এছাড়া, বাংলাদেশের বেসরকারি বাজারের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করবে বেক্সিমকো।
অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন (এজেডডি১২২) হলো অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর-ভিত্তিক ভ্যাকসিন। বর্তমানে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতে বড় পরিসরে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে।
যুক্তরাজ্যের ট্রায়াল থেকে খুবই প্রত্যাশিত ফল পাওয়া গেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ এই ভ্যাকসিন অনুমোদন পাবে। এসআইআই ইতোমধ্যে বৈশ্বিক সরবরাহের জন্য এই ভ্যাকসিনের ১০০ কোটিরও বেশি ডোজ উৎপাদনের জন্য অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্যাভির সঙ্গেও চুক্তি করেছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি